পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨ . কল্পদ্রুম | নিৰ্ম্মাতা, তাহা হইলে ভট্রোজিদীক্ষিতের কাল আরও আধুনিক হইয়া পড়ে ; স্বতরাং মল্লিনাথ যখন সিদ্ধান্ত কৌমুদী হইতে অনুশাসন উদ্ধৃত করিয়াছেন, তখন তিনি আবার ভট্টোজিদীক্ষিত অপেক্ষা আরও অাধুনিক হইয় পড়েন । যাহা হউক, মল্লিনাথ আধুনিক হইলে আমাদের প্রকৃত প্রস্তাবের কিছুই ক্ষতি নাই; কিন্তু বাস্তবিক উল্লিখিত বামন পণ্ডিত কাশিকা প্রণেতা নহেন। এখন একরূপ সপ্রমাণ হইল যে, ভোজ-প্রবন্ধে মল্লিনাথের নাম দৃষ্ট হওয়ায় আমরা ঐ পুস্তকের প্রতি একেবারে অনাদর প্রকাশ করিতে পারি না । ( ক্রমশ: ) স্ত্রীরঙ্গলাল মুখোপাধ্যায়—রাহুত । “ হিন্দুসমাজের বর্তমান শোচনীয় অবস্থার কারণ কি ?” (কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ডের চতুর্থ সংখ্যার ২৫২ পৃষ্ঠার পর ) হিন্দু পুরন্ধীগণের প্রতি সদ্ব্যরহার। - বিধবা বিবাহ। . হিন্দুসমাজে বিধবাবিবাহ অপ্রচলিত থাকায় দুঃখিনী হিন্দু বিধবাদিগের প্রতি যে আমরা কি পৰ্য্যন্ত নির্দয়ত, অমানুষতা ও জঘন্যতা প্রকাশ করিতেছি, তাহা লেখনী বর্ণন করিতে অক্ষম। মানুষের চক্ষের জলের যদি কোন অব্যক্ত অর্থ থাকে, তাহ কেবল বালবিধবা কামিনীদেরই আছে। যে হিন্দু সমাজ দানধৰ্ম্মের এত উৎসাহ প্রদান করিয়া জগতে অক্ষয় মাহাত্ম্য ও কীৰ্ত্তি সংস্থাপন করিয়াছেন; সেই হিন্দুসমাজ যে কেন নিজ অবলা কন্যাদিগের প্রতি এত নিষ্ঠুর ব্যবহার করিতেছেন, তাহা ভাবিয়া স্থির করা যায় না। যে হিন্দুপরিবারসুগুলী অতিথি অভ্যাগত প্রভৃতির উপর শ্রদ্ধা সমাদর ও স্নেহ মমতা প্রদর্শন জন্য চির প্রসিদ্ধ, সেই হিন্দুসমাজ নিজ গৃহলক্ষ্মীদের উপর এত অবজ্ঞা, এত অশ্রদ্ধা, এত নিৰ্ম্মমতা কেন প্রদর্শন করেন, তাহা সহজে বুঝিয়া উঠা যায় না। বিধবাবিবাহের পুনঃ প্রচলনবিষয়ক কোন প্রস্তাব উঠিলেই সৰ্ব্বাগ্রে আমাদের ভাঙ্গ টোলের ঠাকুরের “চৈতন্‌” -ড়িতে আরম্ভ করেন। তাহারা তখন হবিষ্যারের তেজ দেখাইবার জন্য, শাস্ত্রের মহিমা কলঙ্কিত করিবার জন্য, নিমজ্জমান দুঃখী হিন্দুসমাজকে অগাধ পাপহ্রদে নিমগ্ন করিবার জন্য, নিজ নিজ বিদ্যাবুদ্ধি ও পাণ্ডিত্যের