পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাহ্য কাপাস । 8ዓዓ বিভব থাকায় এই ৰাড়িট জনৈক ইংরাজের নিকট হইতে খরিদ করেন । o নারায়ণ পুনরায় অশ্ব পৃষ্ঠে কশাঘাত করিলেন। অশ্ব দ্বয় হাপাইতে হাপাইতে বেলা আন্দাজ একটার সময়ে তাহাদিগকে বাসায় পহুছিয়া দিল । দাহ্য কাপাস । বিজ্ঞান মনুষ্যের অবস্থার উন্নতির প্রধান সাধন। যেখানে বিজ্ঞানের চর্চা, সেই খানেই বাণিজ্য, সেই খানেই নানাপ্রকার কারখানা, সেই খানেই লক্ষ্মীশ্ৰী, সেই খানেই মনুষ্য মুখ স্বচ্ছন্দে কালাতিপাত করিড়েছে। যেখানে বিজ্ঞানের অনুশীলন নাই, সেখানে অলক্ষ্মীর দৃষ্টি–উদয়াস্ত পরিশ্রম করিলেও উপযুক্ত জীবিকা লাভ হয় না । তথায় কৰ্ম্মের ক্ষেত্র অতি অল্প, কাজেই অনেককে আলস্যের দাস হইয়া থাকিতে হয়। ইউরোপের সঙ্গে ভারতবর্ষের তুলনা কর, অবস্থাগত কত বৈষম্য দেখিতে পাইবে—এই উভয় দেশে স্বর্গমর্ত্যের প্রভেদ। ইউরোপের এক একটী অট্টালিকা যেন ইন্দ্রভবন,এক একটা পুষ্পবাটিক যেন নন্দন কানন! প্রশস্ত রাজপথ, গাড়ী ঘোড়া—মুখ ঐশ্বর্য্যের পরিসীমা নাই । দরিদ্রের উপজীব্য—স্থানে স্থানে অসংখ্য কারখানা । এখানে এ কল, ও খানে সে কল—মর্ত্যে যেন জগৎ নিৰ্ম্মাণের ধূম লাগিয়াছে। কেহ নানা প্রকার দ্রব্য সামগ্ৰী লইতেছে, কেহ তুলিতেছে, কেহ শকটে রাখিতেছে,কেহ বহিতেছে,কেহ ভাণ্ডারে পুরিতেষ্টেকেই বেচিতেছে, কেহ কিনিতেছে,–হৃৎস্পন্দনের ন্যায় কাহারও হস্ত এক তিল স্বস্থির নাই । কৰ্ম্মক্ষেত্রে সকলেই আপন আপন কাজে ব্যস্ত ; কত অায়, কত ব্যয় । সকলেই মুখে স্বচ্ছন্দে সংসার যাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতেছে। --. বিজ্ঞানের বলে তুমি পৃথিবীর এক সীমা হইতে অন্য সীমা পৰ্য্যন্ত নখদর্পণে দেখিতেছ। কোন স্থান আর তোমার দুরন্থ বোধ হয় না; কোন স্থান আর তোমার অপরিচিত নাই। এখন সৰ্ব্বত্রই তোমার গতিবিধি। সকল জাতির সঙ্গে তুমি কথা বার্ত কহিতেছ, সকলের সঙ্গে লোৰু লৌকিকত! করিতেছ। পরস্পরের আচার ব্যবহার দেখিয়া কত উন্নতি হইতেছে। দেশ দেশান্তরে না যাইলে, নানা বিষয়ে দৃষ্টি না থাকিলে মানুষ যেন মাতৃগর্ভে