পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গাল হরিনাথ । A. কাঙ্গাল হরিনাথের বেতন ২০১২ টাকা স্থির করিলেন। কিন্তু তিনি নিজে কুড়ি টাকা গ্ৰহণ করিলে নিয়শ্রেণীর শিক্ষকদিগের বেতন-বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে না, এই বিবেচনা করিয়া হরিনাথ নিজে ১৫২ টাকা বেতন গ্ৰহণ করিয়া অবশিষ্ট টাকা নিয়তন শিক্ষকগণের মধ্যে বিভাগ করিয়া দিয়া সুখী হইলেন। দুঃখ কষ্টে র্যাহার জীবন গঠিত, তঁহার জীবনে এরূপ নিঃস্বাৰ্থ ত্যাগ-স্বীকার আশ্চর্য্যের বিষয় নহে কি ? কাঙ্গাল হরিনাথ আত্মজীবনীতে লিখিয়াছেন “আমি বিশ টাকা গ্ৰহণ করিলে, নিম্নশ্রেণীস্থ শিক্ষকদিগের বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে না । আমি পনের টাকা গ্ৰহণ করিয়া নিম্নশ্রেণীস্থ শিক্ষকদিগের যথাযোগ্য বেতন বৃদ্ধি করিয়া দিয়া সুখী হইলাম। এই পনের টাকা পৰ্যন্তই আমার জীবনের বৈতনিক উপার্জন।” গ্রামের যে সকল বালক লেখাপড়া ত্যাগ করিয়া গুণ্ডার দলে প্ৰবেশ করিয়াছিল, তাহাদের হিতাৰ্থে কাঙ্গাল হরিনাথ ও তাঁহার বাল্যাসখা মথুরানাথ বাটীর চণ্ডীমণ্ডপে পঠন-সমিতি ও নৈশ-বিদ্যালয় স্থাপিত করেন। প্রতি শনিবার চারি ঘঠিকার পর সমিতির কাৰ্য্য হইত। পূৰ্ব্ব সমিতিতে যে প্রশ্ন থাকিত, তদনুসারে প্রবন্ধ লিখিয়া পর সমিতিতে সভ্যগণ পাঠ করিয়া তাঁহাদের প্রদান করিত। কাঙ্গাল হরিনাথ ও সখা মথুরানাথ তাহা । সংশোধন করিয়া পর সমিতিতে প্ৰত্যাৰ্পণ করিতেন। ইহাতে সভ্যগণের প্ৰবন্ধ লিখিবার অনুরাগের সঙ্গে সঙ্গে ভাল ভাল পুস্তক পাঠের প্রবৃত্তি বলবতী এবং ক্ৰমে শুদ্ধাশুদ্ধ বোধ ও লিখিবার ক্ষমতা বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হইতে লাগিল। সমিতি প্রভাকর, এডুকেশন গেজেট প্রভৃতি যে সমস্ত সংবাদপত্ৰ গ্ৰহণ করিতেন, সভ্যগণ পালাক্রমে তাহাও পাঠ করিতেন। ইহাতে সভ্যগণের পুস্তক অধ্যয়নের ক্ষমতা ও প্ৰবৃত্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাষাজ্ঞানও বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হইতে লাগিল। এইরূপে অনেকে গুণ্ডার দল পরিত্যাগ পূর্বক কাজের লোক হইয়া পরবর্তী কালে যশঃ ও অর্থোিপার্জন করিয়া