পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb7° कांझांकन इद्रिनाथ “আমি ক’রব। এ রাখালি কত কাল । পালের ছয়টা গরু ছুটে করছে আমায় হাল বেহাল।” অথবা “ওহে দিনত গেল, সন্ধ্যা হ’ল, পার কর আমারে। তুমি পারের কৰ্ত্তা, শুনি বার্তা, ডাকাছি হে তোমারে।” এখনও বর্ষার রাত্রে কুলপ্লবী পদ্মার বিশাল বক্ষে উন্মত্ত-তরঙ্গভঙ্গ-চঞ্চল ক্ষুদ্র ডিঙ্গীখানিতে বসিয়া, জেলেমাৰী উচ্ছসিত কণ্ঠে গাহিয়া উঠে,- “কে যাবি মাছ ধরিতে, আয় রে ভাই আমার সাথে।” দিগ দিগন্ত তাহার কণ্ঠস্বরে আকুল হইয়া যেন ক্ষণকালের জন্য পদ্মার প্রশস্ত বক্ষে মানুষের ক্ষণভঙ্গুর ইহজীবনের পরপারে এক অনন্ত নবজীবনের অস্তিত্বের কথা স্মরণ করাইয়া দেয়। অনেক সঙ্গীতে সংসারের অনেক । সুখদুঃখের কথা ধবনিত হইয়াছে বটে, কিন্তু কাঙ্গাল হরিনাথের বাউল সঙ্গীতে হৃদয়ের মধ্যে যেমন সংসারের অনিত্যতা, ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস, ভক্তি ও প্ৰেমভােব জাগাইয়া তুলে, এমন আর কিছুতেই নহে। রূপের গৰ্ব্ব, ঐশ্বৰ্য্যের অভিমান, বাসনার আসক্তি হইতে মানুষ আপনাকে যদি নির্মুক্ত করিতে চাহে, তাহা হইলে তাহার পক্ষে হরিনাথের সঙ্গীত এক অমোঘ ব্ৰহ্মাস্ত্ৰীস্বরূপ । ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল, রাজসাহী, রঙ্গপুর প্রভৃতি জেলার অনেক লোকই কাঙ্গাল হরিনাথের এই সকল সাধন-সঙ্গীত শ্রবণে মনে করিতেন হরিনাথ দেবতা। সঙ্গীত উপলক্ষে কাঙ্গাল ফিকিরর্চাদ যখন যে স্থানে গমন করিয়াছেন, তখনই সেইস্থান হরিনাথের বাউল সঙ্গীতের পবিত্র স্রোতে প্লাবিত হইয়া গিয়াছে। তাহার সঙ্গীতের ভাষায় নির্ভরশীল ভক্ত হৃদয়ের শান্ত মধুরভােব আপনা ৷ হইতেই উদ্বেলিত হইয়া উঠে। পূর্বে উল্লিখিত হইয়াছে, হরিনাথ বাল্যকালেই পিতৃমাতৃহীন হন। সুতরাং পিতৃস্নেহের জন্য যে আজন্ম-সঞ্চিত