পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8S कांठांव्न इंद्रिनाथ ভদ্রলোক, সাহেব ‘বিবি ও মফস্বলের নিমন্ত্রিত ভদ্রলোকগণ সেখানেই সমবেত হইবেন। তিনটা যখন বাজিয়া গেল, তখন আমরা আর পাগলা কানাইয়ের গান শুনিবার জন্য সেখানে থাকিলাম না। মেলার মধ্যেই একটী ঘরে আমাদের দলের সাজসরঞ্জাম রক্ষিত হইয়াছিল। কাঙ্গালের ত আর সাজের প্রয়োজন ছিল না—তাহার ফকিরেরই বেশ । আর সকলে ফকির সাজিবার জন্য ঘরের মধ্যে গেল। কাঙ্গাল ঘাসের উপর বসিয়া পড়িলেন। র্তাহার দৃষ্টি উদাসী; তিনি কি যেন ভাবিতেছিলেন। আমি তাহার পার্শ্বে উপবিষ্ট। তিনি একটু পরে বললেন “কানাইয়ের গান শুনালি ত। এর পরে কি তোদের গান জমবে, তোরা কি পারবি। আমি তাই ভাবছি।” এ কথার আর কি উত্তর দিব ; আমি নীরবে বসিয়া রহিলাম। একটু পরেই তিনি বলিলেন “তাের কাছে কাগজ পেন্সিল আছে ?” আমি বলিলাম “আছে।” তিনি বলিলেন “এই যে জনসমুদ্র দেখছিস, ইহাদের মধ্যে আজ মায়ের নাম ছড়াইয়া দিতে হইবে। তুই কাগজ ধর, নূতন গান দিই। সেই গান নিয়ে প্রথমে আসরে যেতে হবে।” এই বলিয়া তিনি গান বলিতে লাগিলেন, আমি লিখিয়া লইলাম। গানটী এই-- “আমার আজ এই নিবেদন, লজ্জা বারণ, কর মা লজ্জারূপিণী । ১ । মা, তোমার যে নাম জপে, হৃদয়-কূপে নিরজনে যোগী মুনি ; সেই নাম আজ জনসমাজে, ফকির সাজে, গাইতে এলাম ও জননি ।