পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: Գ8 कांशांळ शब्रिनाथं যেমন করিয়া গাইয়া দেশ মাতাইয়াছিলেন, তেমনই করিয়াই গাইলেন ; কিন্তু যখন গান প্ৰায় শেষ হইয়া আসিল, যখন গায়কদল “কেবল, তুমি আমার আমি তোমার কাঙ্গালের বেদ-গাথা৷” গান করিল, তখন বিজয়কৃষ্ণ আর স্থির থাকিতে পারিলেন না; তিনি সেই পৌষ মাসের শীতের মধ্যেও গাত্ৰবন্ত্র নিক্ষেপ করিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন, কাঙ্গাল হরিনাথও তন্ময় হইয়া গেলেন ; তিনিও উঠিয়া দাড়াইলেম। তাহার পর শুধু “কেবল, তুমি আমার আমি তোমার” এইটুকু গান, আর নৃত্য। বাহাজ্ঞানশূন্য হইয়া বিজয়কৃষ্ণ ও কাঙ্গাল হরিনাথ ভাবাবেশে গাইতে ও নাচিতে লাগিলেন। কোথায় চলিয়া গেল আমার অবসাদ, কোথায় চলিয়া গেল আমার পথশ্ৰম! এমন সুন্দর দৃশ্য, ভক্তের এমন ভাবোচ্ছাস ত কখন দেখি নাই; কখনও সে ভাবের ঢেউ আমাদিগকে স্পর্শ করিতে পারিয়াছে কি না বলিতে পারি না । অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত এই ভাবে গান চলিতে লাগিল। তাহার পর ধীরে ধীরে সকলে প্রকৃতিস্থ হইলেন। সকলেই উপবেশন করিলেন। আমি | মনে করিলাম, বােধ হয় আর গান হইবে না। কিন্তু তখনই আমার । , ভ্ৰম দূর হইল। কাঙ্গাল হরিনাথ গান করিয়া কখন ক্লান্ত, অবসন্ন হন নাই ; আমরা কোন দিন দেখি নাই যে, তিনি গাইতে গাইতে অবসন্ন হইয়াছেন। সমস্ত রাত্রি গান, একভাবে গান করিয়াছেন। গান তাঁহার সাধনালব্ধ বস্তু ছিল। আমাদের বসিবার দুই তিন মিনিট পরেই কাঙ্গাল গুণগুণ করিয়া গান ধরিলেন ; ফিকিরর্চাদের দলের লোকেরাও কাঙ্গালের সঙ্গে থাকিয়া প্ৰস্তুত হইয়াছিল। তাহারা তখনই তাহার সঙ্গে গান ধরিল “জাগ, জাগ ভাই পোহাল রজনী । ) ও ভাই, আর কত কাল, ঘুমাইবে বল, গাও মঙ্গল-আরতি, কর মঙ্গলধ্বনি। (উঠ, উঠ রে ভাই )