পাতা:কাঙ্গালের ঠাকুর - জলধর সেন.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গালের ঠাকুর しア বেশ দেখতে পেলে, কিন্তু ঐ হতভাগী খোকার মা বলতে লাগল কি- ‘কৈ, মন্দিরের মধ্যে তা জগন্নাথ দেখতে পাইনে ; ও যে আমার খোকার মুখ।” তিন দিন উপরিউপরি দেখতে গেল, খোকার মুখ ভিন্ন আর কিছু দেখতে পেলে না । রথে যখন ঠাকুরকে তোলা হোলো, তখনও দেখতে গেল ; কিন্তু সে চাদমুখ। আর তার দর্শন হোলো না,-সে তার খোকার মুখই দেখলে। ঠাকুর তাকে দর্শনই দিলেন না । জগন্নাথ যে-সে ঠাকুর নয়। সুরেশ ! তারই দিকে মন দিয়ে না গেলে তিনি দর্শন দেন না । আরও শুনিবি ? গল্প শুনেছি, এক বুড়ি একবার জগন্নাথে গিয়েছিল। . যাবার সময়ে তার বাড়ীর উঠানে একটা সজনে গাছে ফুল ফুটুতে দেখে গিয়েছিল। বুড়ী সারাপথ সেই সজনের সুদুল আর খাড়ার কথা ভাবতে-ভাবতে গিয়েছিল ; মন্দিরে গিয়ে সে না কি সজনে খাড়াই দেখেছিল। জানিস, এ সব সত্যি কথা । তাই তোকে বলছি, মায়ের জন্য অত কাতর হ’লে তোর মায়ের মনও তোর জন্য কাতর হবে ; তখন তিনি মন্দিরে গিয়ে ঠাকুরের দর্শন পাবেন না, দেখবেন তোর মুখ । এত কষ্ট, এত খরচ, সব বৃথা হ’য়ে যাবে।” কাকীমার কথা শুনে মনে বড়ই ভয় হলো । তা হ’লে ত মায়ের কথা ভাবা ঠিক নয় ! কিন্তু মন কি সে কথা বোঝে। সংসারে মা বিনে আমার যে আর কেউ নেই ;