পাতা:কাঙ্গালের ঠাকুর - জলধর সেন.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গালের ঠাকুর RV তঁহাদের অবস্থা মলিন হইতে আরম্ভ হয়, তখন র্তাহারা সেই মলিনতা ঢাক্লিয়া রাখিবার জন্য ধুমধাম আরও বাড়াইয়া দেন ; ভয়-পাছে কেহ দৈন্যের কথা টের পায় । হরেকৃষ্ণ শেষে তাহাই করিলেন । ছেলের বিবাহের পর তিনি যে বার বৎসর বাচিয়া ছিলেন, ততদিন সমানেই চালাইয়াছিলেন ; গোপীনাথও কিছু দেখেন নাই,- বড়মানুষের ছেলেরা যাহা করিয়া থাকেন, তাহাই করিয়া नभद्र का9ाश्ब्राcछन । তাহার পর একদিন হরেকৃষ্ণের ডাক পড়িল ; তিনি চলিয়া গেলেন। স্ত্রী, পুত্রবধূ এবং বড় আদরের আদরিণী একমাত্র পৌত্রী ইন্দিরা, একপাল আত্মীয়,-কেহই তাহাকে অ্যাটু কাইয়া রাখিতে পারিল না । দুইদিন যাইতে না। যাইতেই প্ৰকাশ হইয়া পড়িল,— হরেকৃষ্ণ দেনায় ডুবিয়া গিয়া বহু আয়াসে বৈতরণী পার হুইয়া গিয়াছেন। তাঁ।” বলিয়া ত আর এত-বড় লোকটার শ্ৰাদ্ধ বালির পিণ্ড দিয়া শেষ করা যায় না । গ্রামের দশজন কল্যাণকামী, পুরোহিত মহাশয়, শুভানুধ্যায়ী শুষ্ঠালক নিধিরাম এবং অন্যান্য আত্মীয়-কুটুম্ব সকলেই গোপীনাথকে সাহস দিলেন- র্যাহা বায়ান্ন তাহা তিপান্ন-যে ষাট হাজার সেই সত্তর হাজার । ষাট হাজার টাকা ঋণ যদি শোধ হয়, তাহা হইলে আর দশ হাজারও শোধ হইবে,-বাবা তা দ্বিতীয় বার মরিতে আসিবে না ! গোপীনাথ কি “করিৱেলি ; দশজনের পরামর্শই গ্ৰহণ করিলেন- “দশহাজার টাকা ধারা