পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুখ অনুভূত হওয়াকেই ধ্যান বলেন। এই ধ্যানদ্বয়ের বিষয় ও পরিাণামফল আলোচনা করিয়া যোগিগণের ধ্যানকে লক্ষ্য করিয়াই ভক্ত যোগীকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও ভগবানের একান্ত প্রিয় বলিয়া স্বয়ং শ্ৰীভগবানই নির্দেশ করিয়াছেন ; যথা—শ্ৰীমদভগবদগীত।। ৭ম অধ্যায় ১৬ শ্লোকে উক্ত হইয়াছে “যোগযুক্ত আত্মজ্ঞানী ভক্তই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ। তিনি আমার ও আমি তাহার একান্ত প্ৰিয় ।” বিজ্ঞান-যোগ । বিজ্ঞানযোগ সম্বন্ধে কাঙ্গাল হরিনাথ বলেন—এই জগৎ-সংসারে মায়ামুগ্ধ জীব সকল আপনার মায়ামুগ্ধতা অনুভব করিতে না পারিয়া অনেক সময়ে আপনি আপনাকে জ্ঞানী জানিয়া অভিমানে অভিভূত হয়। শাস্ত্ৰ যে অবস্থাকে লক্ষ্য করিয়া “জ্ঞানাদেব হি মুক্তি স্যাৎ”—জ্ঞানই এ সংসারে মুক্তির কারণ, জ্ঞানই মায়াজন্য সুখ-দুঃখাদি যন্ত্রণ পরিহারের একমাত্ৰ হেতু, ইত্যাদি বাক্যে জ্ঞান শব্দের যোজনা করিয়া দেন ; মোহান্ধ মানব জীবের সাধারণ-জ্ঞানের সহিত তাহার ঐক্য সমাধান পূর্বক অনেক সময়েই দুঃখ করিয়া থাকেন। “আমি জ্ঞানী হইয়া সংসার-যন্ত্রণা অনুভব করি কেন ? জীবমুক্ত হইয়া মায়ািসন্দীপ্ত শোক-দুঃখানলে দক্ষ্মীভূত হই কেন ?” এবং পরিণামে মীমাংসাস্থলে দণ্ডায়মান হইয়া শাস্ত্ৰবাক্যকে মিথ্যা বলিতে ক্ৰটী করেন না। সেই মায়ামুগ্ধ মানবকে সতর্ক করিবার জন্যই ত্ৰিজগন্মঙ্গল শাস্ত্ৰ জীবের সাধারণ জ্ঞান হইতে বিশেষ করিয়া সেই ব্ৰহ্মজ্ঞানকে বিজ্ঞান নামে অভিহিত করিয়াছেন। যে বিশেষ জ্ঞানে পূর্ণ জ্ঞানস্বরূপ পরব্রহ্মের ব্ৰহ্মাণ্ডময় পরম মহিমাতত্ত্ব সাধক-হৃদয়ে নিত্য প্ৰকাশিত হয়, তাহাকেই বিজ্ঞান-যোগ বলে। আহার নিদ্ৰা ভয় ও সন্তানােৎপাদনের জন্য যে জ্ঞানের প্রয়োজন, তাহ এ জগৎ-সংসারে সৃষ্ট জীবমাত্রেই সমানরূপে > > R