পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসবানন্দদায়ক ও পাপে অবিদ্ধ ভক্তবাঞ্ছাকল্পতরু বলিয়া লক্ষ্য করে, তখনই বৈরাগ্য উপস্থিত হইয়া সংসাণাসক্তি নিরসনপূর্বক ভগবদনুরাগকে হৃদয়াসন প্ৰদান করিয়া থাকে। এইরূপে যতই সংসারসুখ অনিত্য ও ভগবৎসঙ্গ নব নব আনন্দের তরঙ্গসিন্ধু বলিয়া অনুভূত হয়, ভগবদনুরাগ ততই বদ্ধিত হইয়া সংসার হইতে জীবকে ভগবানের দিকে অগ্রসর করিতে থাকে। ভগবানের প্রতি বদ্ধিত অনুরাগের গাঢ়তাই ভক্তির লক্ষণ। ভক্তির জগদাকৰ্ষিণী শক্তিযোগে ভগবানকে আপনার হৃদিকমলে নিত্য অধিষ্ঠিত দেখিয়া শ্রবণ, মনন, কীৰ্ত্তন ও বন্দনাদি দ্বারা নিত্য-উৎসবানন্দ সম্ভোগ করাই ভক্তিযোগের কাৰ্য্য। অগ্নিস্ফুলিঙ্গের তৃণগুচ্ছ দাহের শক্তিদর্শনে প্ৰলয়াগ্নির বিশ্বদােহনশক্তির সম্বন্ধে যেমন কাহারও সংশয় উপস্থিত হইতে পারে না ; তদ্রুপ ভালবাসার আকর্ষণে জীব-জগৎকে আকৃষ্ট হইতে দেখিয়া তৎপরমপরিণতি ভক্তির আকর্ষণে আকৃষ্ট হইয়া ভগবানের ভক্তহৃদয়ে উদয় হওয়া সম্বন্ধেও কাহার সংশয় উপস্থিত হইতে পারে না। এতদ্বিষয়ের প্রমাণ অপ্ৰত্যক্ষ হইলেও প্ৰজ্বলিত অনলরাশির গ্রাম, নগর, দেশ, মহাদেশ-দাহ্যকত্বই যেমন প্ৰলয়াগ্নির বিশ্বদহিক শক্তির প্রমাণ ; সেইরূপ ভক্তির উদয়ে ভাগবতগুণ অর্থাৎ ভাব, পুলক, অশ্রুপাত, গদগদচিত্তত প্ৰভৃতির প্রকাশই ভক্তহৃদয়ে ভক্তির আকর্ষণে ভগবানের আকৃষ্ট হইবার সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত। ভক্তির অস্কুরেই ভাবের প্রকাশ হইয়া থাকে। এই ভাবের পূণোদয়েই ভক্ত, মান, সন্ত্ৰম, যশ, জয় ও লাভ প্রভৃতি সাংসারিক সুখ বিসর্জন দিয়া ভগবানের পূজা, অৰ্চনা, বন্দনা এবং লীলা শ্রবণকীৰ্ত্তনাদি বিষয়ে নিয়ত লিপ্ত থাকিয়া পরমানন্দ সম্ভোগ করেন । I' যে ভাব অন্তঃকরণে উদিত হইলে স্বতএব হৃদয়সিন্ধু উচ্ছলিত হইয়া পড়ে ; ভগবান্নাম ও লীলা শ্রবণ বা কীৰ্ত্তন করিতে জলধারায় অাখি RV)