পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদয় বলিয়া অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে। সুতরাং ভক্তিপদার্থ সাধারণ ভাবগ্ৰাহী হইয়াও যে, এক, অভিন্ন, ইহাতে আর কাহারও সংশয়ের কোন কারণ নাই। অতএব সাধনার ভাবভেদ জন্য মধুর, বাৎসল্য, সখ্য ও দান্ত প্ৰভৃতি নামভেদে একমাত্ৰ ভক্তির যে নানা রসভেদ, ভক্তিরাজ্যে এ সম্বন্ধেও কাহারও। আর কোন কথা বলিবার নাই । পূৰ্বোল্লিখিত সেই অনিৰ্ব্বচনীয় ভােব হৃদয়কন্দরে সঞ্চারিত হইলে বুঝিতে হইবে, যে, ভক্তিলতিকা অঙ্কুরিত হইয়াছে। ভগবত্তারুর সত্ত্বা এ জগৎসংসারের কি অন্তর, কি বাহির কোথাও ছাড়া নাই। তাই, এই ভক্তিলতিকা ক্ৰমশঃ বৃদ্ধিত হইয়া সম্মুখস্থ ভগবত্তারুকে আশ্রয় করে বা র্তাহার সহিত সংযুক্ত হয়। ভক্তির এই যোগকেই ভক্তিযোগ বলে। এই ভক্তিলতিকার মূলে ভক্ত, শ্রবণ মনন কীৰ্ত্তনাদিরূপ যতই জলসেচন করিতে থাকেন, লতিকা ততই তেজস্বিনী ও লতিকা হইয়া ভগবত্তারুর সর্বাঙ্গ বেষ্টন করে। চিন্তাতীত সেই অপরিমেয় ভগবানকে যে ভক্ত সমাজে পরিমিত, ভক্তবশীকৃত ও ভক্তবাঞ্ছাপূরণ কল্পতরুরূপে দেখিতে পাওয়া যায় ; ভক্ত যে, “সহস্রশীৰ্ষাপুরুষঃ সহস্রাক্ষঃ সহস্ৰপাৎ” ইত্যাদি মন্ত্রে ভগবানকে অপরিসীম, বাক্যমনের অগোচর ও সৰ্ব্বব্যাপী বিরাট অনুভব করিয়াও “অত্যাতিষ্ঠদশাঙ্গুলং” এই মন্ত্রে আবার নিজ মনঃপ্রাণ ও হৃদয়ানুরূপ করিয়া এককুশীর জলে তাহার স্নানকাৰ্য্য সমাপনপূর্বক সংসারাদিত্যসন্তপ্ত নিজ হৃদয়কে শীতল বোধ করিয়া থাকেন ; “মায়াসুত্রপট্টাচ্ছন্ননিজগুহেরুতেজসে” মায়ারূপ সুত্রে নিৰ্ম্মিত বস্ত্ৰদ্বারা আচ্ছাদিত হইয়া যে, তুমি গুহা ( গোপনীয় ) ও উরু ( বিশাল ) তেজকে আবরণ করিয়া অবলম্বন করিাতেছি ; “নিরাবরণং বিজ্ঞায় বাস স্তে কল্পয়ামহম” সেই তোমাকে নিরাবরণ জানিয়াও আমি তোমার সম্বন্ধে বাসের কল্পনা করিতেছি, এই মন্ত্রে ভগবানের পরমতত্ত্ব অনুভব করিয়াও ভক্ত যে, নয়ন জলে অভি do RC