পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখিতে পান, এক শক্তিস্রোতঃ অধোদিকে জীবাত্মার প্রতি নিরন্তর প্ৰবাহিত হইতেছে। অর্থাৎ পরমাত্মার ইচ্ছা ও আজ্ঞা, সূৰ্য্যকিরণজাল যেমন চন্দ্ৰে পতিত হইয়া তাহাকে আলোকিত করে, তদ্রুপ জীবকে জ্ঞানবিজ্ঞানালোকে দীপ্তিমান করিতেছে। পণ্ডিতেরা এই জ্ঞানকে হিতাহিত বিচারশক্তির আধার বিবেক বলিয়া থাকেন। সূৰ্য্যকিরণে অংশানুক্ৰমে আলোকিত হইয়া চন্দ্ৰমণ্ডল যেমন দীপ্তি পায় এবং ষোড়শাংশ বা ষোলকলা পূর্ণ হইলে পূৰ্ণচন্দ্ৰ নাম গ্ৰহণ করে ; জীবও তদ্রুপ হিতাহিত জ্ঞানবিজ্ঞানে বিবেকযুক্ত হইয়া থাকে। এই কারণে মনুষ্যের বিবেকশক্তির তারতম্য দেখিতে পাওয়া যায় ; অর্থাৎ কাহারও পূর্ণ ও কোন কোন ব্যক্তির চন্দ্ৰকলানুরূপ নৃত্যুনাধিক। সূক্ষ্ম বিচার করিলে এই প্রকার জ্ঞানবিজ্ঞানযুক্ত বিবেকও আত্মার স্বাভাবিক জ্ঞান বা বিবেক নহে, প্ৰতিবিম্বিত জ্ঞানবিবেক। কেন না, পৃথিবী অন্তরায় হইলে সুৰ্য্যালোকের অভাবে চন্দ্ৰমণ্ডল যেমন প্ৰকাশ পায় না। অর্থাৎ রাহুগ্ৰস্ত বা গ্ৰহণযুক্ত হইয়া থাকে ; তদ্রুপ মায়া অন্তরায় হইলে জীবের জ্ঞানবিবেক থাকে না। এই নিমিত্ত প্ৰতিবিম্বিত জ্ঞানী বিবেকী দিগকেও অনেক সময় জ্ঞানবিবেকাশূন্য গহিত কাৰ্য্য করিতে দেখা যায়। জ্ঞানপ্ৰেমময়ী কুণ্ডলিনীশক্তি জাগ্ৰাৎ হইলে জীবের যে জ্ঞানবিবেক বিকসিত হয়, তাহাই তাহার স্বাভাবিক জ্ঞানবিবেক। অর্থাৎ পরমাআর যেমন অনিবার ও অপ্রতিহত পরিপূর্ণ জ্ঞান, জীবাত্মা তাহার যেমন বিন্দু; তদ্রুপ অনিবার ও অপ্রতিহত জ্ঞানবিবেকযুক্ত। মায়াজাল ইহার অন্তরায় হইতে পারে না । ব্ৰহ্মশক্তি মায়া মহতী এবং জ্ঞানবিবেক ক্ষুদ্র হইলেও সূৰ্য্যকিরণাণু যেমন বৃহৎ কাচপাত্র ভেদ করিয়া গন্তব্য স্থানে প্ৰবেশ করিয়া থাকে ; তদ্রুপ মায়াচক্ৰ ভেদ করিয়া পরমাত্মাকে ৰিদ্ধি করে। তখন সিন্ধু বিন্দু এক হইয়া যায় অর্থাৎ ব্রহ্মের ইচ্ছ। আর b\08