পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবের ইচ্ছা মিলিত হইয়া কাৰ্য্য করিতে থাকে। এই প্রকারে জীবের ইচ্ছা যে, ব্রহ্মেচ্ছায় সংযুক্ত হয়, তাহারই নাম জীবের অন্তর্মুখ এবং ঐ রূপ সংযুক্ত হইয়া জীব সংসারের যে কাৰ্য্য করে, তাহারই নাম বহিৰ্ম্মখে ; এই প্রকারে জীবের ইচ্ছ, একবার অন্তর্মুখী হইয়া পুনরায় বহির্মুখী হইলে পণ্ডিত ও মুখ সকলেরই জ্ঞানবিজ্ঞান এক প্রকার কাৰ্য্য করিতে থাকে, কাহারও কাৰ্য্যে কিছুমাত্র তারতম্য বোধ হয় না। সুতরাং উক্ত প্রকারে সিদ্ধ জীবের কাৰ্য্যে। আর কোন প্ৰকার ভ্ৰম প্ৰমাদ থাকে না। এবং জন্ম জরা মরণ ও পতনভয় নিবারিত হইয়া মুক্তিপদ লাভ হইয়া থাকে। সহস্রার পদ্মে কুণ্ডলিনী প্ৰবেশ করিলে জীবাত্মার সহিত পরমাত্মার যে মিলন হয়, এই প্ৰকার মিলনই প্ৰকৃত যোগশব্দের বাচ্য। BDDB DDD D KKBB DBD BBD BBD BuDuD DBDBBDSDBDBD যোগাঙ্গ বা যোগপ্ৰণালী । সহস্রারপিদ্মে জীব ও পরমাত্মার সঙ্গতিলাভ অর্থাৎ যোগ হইলে যোগানন্দরূপ অমৃতরস পান করিলে জীব মৃত্যুঞ্জয় এবং অনিমাদি অষ্টবিভূতিসিদ্ধ ও ত্ৰিজগন্মোহন কবি হয়। কুণ্ডলিনী অমৃতপানোন্মত্ত জীবাত্মার সহিত পুনর্বার অধোমুখে ক্ৰমান্বয়ে সমুদায় চক্র বা পদ্ম পরিভ্রমণ ও তত্ৰত্য স্বরূপশক্তিকে অমৃতরস বিতরণ করতঃ মূলাধারে স্থিতি করেন। এই সময়ে সাধকের শরীর ভগবদ্ভাবে, মহিমায় ও প্ৰেমরসে উচ্ছলিত এবং আজ্ঞাচক্ৰ বিশুদ্ধজ্ঞানবিজ্ঞানে পরিাপূর্ণ হইয়া অপূৰ্ব্ব ভাবের আধার হয়। কুণ্ডলিনী শক্তি আশ্ৰয় করিয়া । সাধক, কুলপথে অর্থাৎ সুষুমার মধ্য দিয়া এই প্রকারে কুণ্ডলিনীশরণে সহস্রারপিদ্মে পুনঃ পুনঃ গতায়াত অর্থাৎ বারংবার তথায় উন্নীত হইয়া ও তত্ৰত্য পিযুষরাস পান করিয়া মূলাধারপদ্মে আসিয়া থাকেন এবং সৰ্ব্বসিদ্ধি মোক্ষ লাভ করেন । ইত্যগ্ৰে যে মোক্ষ-তত্ত্বের উল্লেখ করিয়াছি, তাহ নির্বিশেষ ও VM)