পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ R ] ব্ৰহ্মাণ্ডবেদে-ধৰ্ম্মের ব্যভিচার । কাঙ্গালের ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ জিনিষটা কি, তাহার পরিচয় আমার যতটুকু সাধ্য, দিতে চেষ্টা করিলাম। আমি পূর্বেও বলিয়াছি এখনও বলিতেছি, ব্ৰহ্মাণ্ডবেদে কাঙ্গাল হরিনাথ যে সমস্ত তত্ত্ব প্ৰকাশিত করিয়াছেন, তাহা র্তাহার সাধনলব্ধ ; জ্ঞানহীন, বুদ্ধিহীন, সাধনহীন, ভজনহীন আমি কিছুতেই তাহার উপলব্ধি করিতে পারি নাই; সুতরাং আমি কেবল কাঙ্গালের ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ-ভাণ্ডারের অমূল্য রত্নরাজির দুই চারিটীি রত্ন তুলিয়া সুধী পাঠকগণের সম্মুখে ধারণ করিব ; তঁহারা নিজ নিজ সাধনবলে তাহার মৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিবেন, ইহাই আমার একমাত্র আশা। ব্ৰহ্মাণ্ডবেদের একস্থলে কাঙ্গাল হরিনাথ যে কয়েকটা কথা বলিয়াছেন তাহা পাঠ করিলেই পাঠকগণ জীর্ণকুটীরবাসী হরিনাথের দেবহৃদয়ের পরিচয় প্রাপ্ত হইবেন। তিনি বলিয়াছেন—“পৃথিবীতে ধৰ্ম্ম কেবল নাম মাত্র রহিয়াছে। যাহারা আস্তিক নামে পরিচিত, তাহারা ধৰ্ম্মপরিচ্ছদ, ধৰ্ম্মভূষণ ও ধৰ্ম্মচিহ্ন ধারণ করিয়া কেবল মুখে ধৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম করিতেছেন ; প্রকৃতরূপে ধৰ্ম্মসেবা ও ধৰ্ম্মরক্ষা অতি অল্পলোকেই করিয়া থাকেন। ধাৰ্ম্মিক নামে প্ৰসিদ্ধ হইতে এবং তজ্জন্য খ্যাতিলাভে শ্রুতিসুখে সুখী হইতে, ধৰ্ম্মযাজক ও ধৰ্ম্মপ্রচারকদিগের মধ্যে অনেকেরই যাদৃশী ইচ্ছ। ওঁ চেষ্টা, দেশ যে ধৰ্ম্মশূন্য হইয়া দিন দিন অধঃপাতে যাইতেছে, সেদিকে ইহাদিগের তদৃশ দৃষ্টিপাত অতি বিরল। গুরু প্রভৃতি অনেক à 0