পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“আমি” বলিয়া স্বীকার ও বিশ্বাস করিতেছি, তখন পরলোক দেখা যায় না বলিয়া তাহা অবিশ্বাস করিবার কারণ কি ? তাহার পর পূর্বেও বলিয়াছি, সাধন করিলেই অন্তর-অাখি ফুটিয়া উঠে এবং পরলোক প্ৰত্যক্ষ হয় ; তখন আর অবিশ্বাসের স্থান থাকে না । এই কথাটা সহজ করিবার জন্যই কাঙ্গাল নিম্নলিখিত গানটী করিয়াছিলেন কি হয় মানুষ মলে, ও তাই জিজ্ঞাসে রে সব জনা । মানুষ মলে যা হয় তাই হয়েছে, একবার ভেবে দেখ না। ১। আত্মম্ভরী আত্মসুখী পশুর লক্ষণ, ভেবে দেখ না রে মন ; পশুপ্রবৃত্তি যার, পশু সে জন, হবে যা হয় রে সে জনা ! ২ । আপনাকে চেনে যে জন, মানুষ সে জন হয়, কেবল মানুষ মানুষ নয় ; মানুষ দেবতা হয় দেবতা হবে, ( ক’রে) জগতের হিতসাধন। ৩। পশুর প্রবৃত্তি যার কিছুমাত্ৰ নাই, জীবে দয়া সৰ্ব্বদাই ; সে ত মানুষ হ’য়ে দেবতা হয়, যা হবে তাই হয় সে জনা। ৪। ক্যাঙ্গাল বলে যোগী ঋষি সাধক প্ৰধান, যাদের জগৎ সমজ্ঞান, তঁরা ঋষি ছিলেন, ঋষি হ’লেন, করেন অন্তরীক্ষে সাধনা। পরলোক সম্বন্ধে কাঙ্গালের কি মত, তাহা আমরা এতক্ষণ দেখাইলাম। কাঙ্গাল বলিতে চান যে, ও সকল কথার মীমাংসা তর্কের দ্বারা হয় না, সাধনার দ্বারা হয়। প্রথমেই পিপাসা চাই; পিপাসা হইলেই তাহার নিবৃত্তির জন্য ব্যাকুলত আসিয়া উপস্থিত হইবেই ; সেই ব্যাকুলতাই পথিপ্রদর্শককে আনিয়া দিবে। তাহার পর সেই পথিপ্রদর্শকের সঙ্গে সঙ্গে অগ্রসর হইতে হইবে ; তাহার পর যাহা অপ্রত্যক্ষ ছিল তাহা প্ৰত্যক্ষ হইবে। তাহার পর—তাহার পর যাহা, তাহা তিনিই বলিতে পারেন যিনি SO