পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কি জানেন ? পূজ্যপাদ প্ৰাতঃস্মরণীয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ঋজুপাঠে @कठे 6ींत श्रफुिब्रक्रिलाभ “ন ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰং পঠতীতি কারণম। নবাপি বেদাধ্যয়নং দুরাত্মনঃ। স্বভাব। এবাত্র তথ্যাতিরিচ্যুতে, যথা প্রকৃত্যা মধুরুং গবাং পয়ঃ।” শ্লোকটির সোজাসুজি অর্থ বোধ হয় এই দাঁড়ায় যে, যে ব্যক্তি দুরাত্মা তাহার ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ পড়িলেও কিছু হয় না, বেদাধ্যয়নেও কোন ফল হয় না ; তাহার যা স্বভাব তাহ সহজে যায় না। সে কেমন ? যেমন গরু স্বভাববশেই মধুর দুগ্ধ দান করে, এ দিকে তাহার আহার কিন্তু তৃণ। ঐ কথাটা আমার বড়ই মনে লাগিয়াছিল। আত্মানুসন্ধান করিয়া দেখিলাম যে, হৃদয়ের মধ্যে দুস্তপ্রবৃত্তিরই প্ৰাধান্য ; তাহাকে কিছুতেই ছাড়িতে পারি না। শ্ৰীমদভগবদগীতা লইয়া পড়িতে বসিলে কি হয় ? মুখে পড়ি, কিন্তু মন থাকে। আর এক নীচ প্রসঙ্গে মত্ত। এই কথা ভাবিয়াই শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণদেব বলিয়াছিলেন “শকুনি ওঠে বহুদূর আকাশে, কিন্তু তার দৃষ্টি থাকে ভাগাড়ের মড়ার দিকে” আমাদেরও অনেক সময়ে সেই দশা হয়। ধৰ্ম্মগ্রন্থ পাঠে রূচি হয় না—পড়িতে বসিলেও পড়ার মত পড়া হয় না। তাই কাঙ্গালের এই যে সুন্দর ব্ৰহ্মাণ্ডবেদ, তাহা এতকালের মধ্যে আমি ভাল করিয়া পড়িতে পারি নাই ; সে দিকে মনই যায় নাই। এখন “কাঙ্গাল হরিনাথ” লিখিতে বসিয়া ‘ব্ৰহ্মাণ্ড বেদ’ পড়িতে হইতেছে। কিন্তু সব অন্ধকার! তাই বন্ধুর উপদেশ অনুসারে প্রতি পদক্ষেপে বলিতে হইতেছে “Light, lightmore light ; আলো, আলো-আরও আলো ৷” একদিন খেয়ালের বশে বসিয়া বসিয়া ভাবিতেছিলাম, এই যে সকলে