পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহা উচ্চ ও নীচত্বের কারণ নহে। প্ৰতিবিম্বিত অপরজ্ঞান তাহা উচ্চ বা নীচ বলিয়া স্বীকার করে না। সৰ্ব্বাপেক্ষা উচ্চ বৃত্তি বা উপজীবিকা অধ্যাপন, অধ্যাপনা। এরূপ বিমলা বৃত্তিসেবক বিপ্ৰও যদি কাম ক্রোধাদি নিকৃষ্ট বৃত্তির অধীন হয়, তবে সে বিপ্ৰও নীচত্ব লাভ করিয়াছে, ঐশ্বরিক নিয়মানুসারে অবনত মস্তকে তাহা স্বীকার করিতে হইবে। যদি কেহ দৈহিক, সামাজিক অথবা কোন প্ৰকার পদপদার্থের বলে তাহা স্বীকার করিতে ইচ্ছা না করেন, তাহা হইলে রাজনিয়ম পালন না করিয়া রাজা স্বীকার করাও যেরূপ, আর ঈশ্বর স্বীকার করাও তাহার পক্ষে তদ্রুপ। ঐশ্বরিক নিয়ম অনুসারে উচ্চ ও নীচত্ব বিচার করিলে, যে ব্যক্তি ধৰ্ম্ম ও সত্যের মর্য্যাদা রক্ষা করিয়া জীবিকানিৰ্বাহ করে, সে ব্যক্তি পরের মোট বহন করিলেও কামক্রোধাদির ক্রীতদাস রাজা ও রাজমন্ত্রী হইতেও উচ্চ, ইহাতে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। জাতীয় ব্ৰাহ্মণগণ ঋষিবাক্য, ষটুকৰ্ম্ম বিস্মৃত হইয়া এবং তাহার পরিাবৰ্ত্তে ষড়রিপুর দাসত্ব করিয়া ক্ৰমান্বয়ে যে নীচত্ব লাভ করিতে লাগিলেন, সে দিকে দৃকপাত না করিয়া যাহাতে শূদ্রাদি সাধারণ জাতি, কৃতদোষের কোন উল্লেখ না করিয়া, তীহাদের চরণপূজা করে, এবং যাহাতে সত্ত্বগুণ লাভ করিতে না পারে, তন্নিমিত্ত প্ৰাণপণ যত্ন ও চেষ্টা করিতে লাগিলেন ; এবং ঋষিবাক্য মূলসূত্রের ভাবান্তর ও রূপান্তর করিয়া নানা প্রকার উপনিয়মাদিও বিধিবদ্ধ করিলেন। কিন্তু কামক্রোধাদির আতিশয্যে সত্ত্বগুণের বিকারই যে নীচত্ব, তন্নিমিত্ত জগদগুরু মহাদেব শঙ্কর যাহা বলিয়াছেন এবং সেই বাক্য শিরোধাৰ্য্য করিয়া নারায়ণ দেবের অর্থাৎ সত্ত্বগুণের অংশাবতার শ্ৰীবাসদেব যাহা পুরাণাদিতে লিখিয়াছেন, সেই বেদবাক্যের প্রতিরোধ করিতে কাহার সাধ্য আছে? একদিকে সত্ত্বগুণ বিকারগ্ৰস্ত হইয়া অন্যদিকে রজঃ ও তমোগুণ শুভকাৰ্য্য ও বিদ্যার প্রভাবে ክፖዓ