क3भव् বক্ষদেশে বিদ্ধ, পৃষ্ঠদেশ দিয়া বাহির হইয়া গিয়াছে। তাহার সামান্য মাত্র জ্ঞান আছে। কাঞ্চন নিকটবৰ্ত্তী হইলে, সে কষ্টে ক্ষীণ হস্ত যোড় করিয়া ক্ষীণস্বরে বলিল-দেবী ক্ষমা --তাহার। আর কথা কহিতে হইল না। কাঞ্চন একবার নাড়িয়া চাড়িয়া দেখিলেন যে প্ৰাণপক্ষী দেহ-পিঞ্জর পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছে। দ্বিতীয়ের নিকট আসিয়া দেখিলেন, তাহার গাত্ৰ হইতে বর্ষাফলক তুলিয়া লইলে সে বঁাচিতে পারে। তৎক্ষণাৎ কাঞ্চন ধীরে ধীরে বর্ষফলক উত্তোলন করিলেন, প্ৰবল বেগে রক্তস্রোত ছুটিতে লাগিল। কাঞ্চন নিজ রক্তাম্বরের অঞ্চল ছিন্ন করিয়া ক্ষত মুখে অৰ্পণ করিলেন ; সম্মুখে জল ছিল না, ক্ষত মুখে ধূলিমুষ্টি প্ৰদান করিলেন এবং নিকটে যে সকল লতা পাতা ছিল তাহার রস নিঙড়াইয়া ক্ষত মুখে দিবার উদযোগ করিতে লাগিলেন। ইতিমধ্যে অশ্বতর আরোহণ করিয়া এবং উষ্ট ও গর্দভের পৃষ্ঠে কি কতক গুলা বোঝাই দিয়া কতকগুলা লোক তথায় আসিয়া R
পাতা:কাঞ্চনমালা - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।