পাতা:কাদম্বরী নাটক.djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী নাটক। & ও তৎসহচর দুইটা ঋষি কুমারের সহ সাক্ষাৎ লাভ হয়। রাজকুমার ! সেই ক্ষণ হতে হতভাগিনী মহাশ্বেতার অভূত সুখ দুঃখের মূল রোপিত হয়। পুণ্ডরিক আমার সদালাপে সাতিশয় পরিতুষ্ট হয়ে । আমায় একটা অত্যাশ্চৰ্য্য সৌগন্ধীয় পুষ্প প্রদান করে অনিচ্ছ ক্রমে অন্যত্রে গেলেন । তার সন্দর্শনে আমার মন যে কিৰূপ ভাবে পূর্ণ হয়েছিল, তা অবক্তব্য । তদণ্ড হতেই তার সমভিব্যাহরিণী হয়ে বনেই থাকি এই আমার বাসনা ছিল । তারও ইচ্ছা ছিল না,যে আমায় পরিত্যাগ করে অন্যত্রে গমন করেন । কিন্তু বিধাতার লিখন অখণ্ডনীয়, আমি মাতৃ সহকারে পুনৰ্ব্বার গৃহে প্রত্যাগমন করালেম, কিন্তু শুদ্ধ জীবনশূন্য দেহ লয়ে, মন প্রাণ সমস্তই সেই ঋষিকুমার পুণ্ডরিকের নিকট রেখে গেলেম । প্রথম সন্দর্শনে পরস্পরের মনের কথা আর বলা হলো না, গৃহে প্রত্যাগতা হয়ে আর কণা মাত্ৰ মনের সুখ নাই। পরিজনবর্গের সদালাপ, যেন কটুক্তি বোধ হতে লাগলে, সখীগণের সুমধুর সঙ্গীতালাপ বীণা ঝঙ্কার যেন বজ্রপাত বঞ্চনার ন্যায় অশ্রাব্য হয়ে উঠলে,— দুগ্ধফেণনিভ-বকপক্ষ-সম শুভ্র সুকোমল শয্যা যেন কণ্টকাকীর্ণ বোধ হতে আরম্ভ হলে,—শয়নে স্বপনে শুদ্ধ সেই ঋষি । কুমারের মুখত্র ও অঙ্গ গঠন আর তার সুধাময় বচন কর্ণে অহৰ্বিশি প্রতিদ্বনিত হতে আরম্ভ হলে,—সমস্ত জগত তিক্তময়, কিৰূপে সেই প্রিয়তমের সহ পুনঃ সাক্ষাৎ হবে এই চিন্তাকি সুযোগে সেই সুমধুর বচন শ্রবণ করে পুনৰ্ব্বার কর্ণ শীতল করবে, এই ভাবনাতেই আহার নিদ্র সমস্ত পরিত্যাগ করলেম —