>。 কদম্বরী নাটক । মহ। রাজকুমার! আমি ও কপিঞ্জল উভয়ে নীরবে পুণ্ডরিকের দেহ অঙ্কে লয়ে আছি, এমন সময় একটা দেবপুরুষের ন্যায় ব্যক্তি সহসা গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ পূৰ্ব্বক প্রাণকান্তের মৃতদেহ, বলপূৰ্ব্বক গ্রহণ করে, “ মহাশ্বেতা ! ভয় নাই, তোমার মনোহর পুনৰ্ব্বার প্রাণ প্রাপ্ত হবে, মহাদেবের আরাধন কর " এই বলে স্বৰ্গে আরোহণ করলেন। কপিঞ্জল, “ রে দুরাত্মন! তুই আমার বয়স্তকে কোথ লয়ে যাস্ ” এই কথা বলতে বলতে আকাশমার্থে বিলীন হয়ে গেলেন, সেই পৰ্য্যন্ত তিনিও আর প্রত্যাগমন করেন নাই। - , চন্দ্র। আপনাকে সেই অবস্থায় নিক্ষেপ করে কপিঞ্জল আর প্রত্যাগত হলেন না? অবশ্য এর কোন রহস্য আছে। দেবি । তার পর আপনি কি কল্লেন ? মহা । তার পর তরলিকা প্রত্যাগত হলে আমি সমস্ত পিতা মাতার কর্ণগোচর করে, তাদের অনুমতি গ্রহণ ও আশীৰ্ব্বাদ প্রাপ্ত হয়ে, সেই দেবপুরুষের আজ্ঞা প্রতিপালন করছি। যত কাল নাথ না প্রত্যাগত হন, ততকাল এইৰূপে থাকবো। তার পর নৈরাশ হই তো অনলে বা সলিলে প্রবেশ পূৰ্ব্বক এই পাপ প্রাণ পরিত্যাগ করে, সমস্ত দুঃখ ও শোকের পরিশেষ করবে, সংসারের সুখ পুণ্ডরীক বিহনে আর আমার অদুটে নাই। চন্দ্র । ভগবতি ! যদি আপনার সহচরী তরলিকা এখানে এসেছিল, কিন্তু আমি তো এসে অবধি আপনাকে শুদ্ধ একাকিনীই দেখিতেছি, সে তরলিক কোথায় ? মহ। রাজকুমার! এই জগৎ সংসার মধ্যে আমার আর একটা প্রণয় ও স্নেহের পত্রিী আছে, সেট আপনাকে বলিতে বিস্মৃত হয়েছিলেম,আমার সেই প্রেম ও স্নেহভাজন পাত্ৰীগন্ধৰ্ব্ব-কুল-দস্তুত মদির
পাতা:কাদম্বরী নাটক.djvu/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।