কাদম্বরী নাটক । २१ তারা । বৎস! তুমি এই গৃহে বিশ্রাম কর। মহিষি! এসে আমরা পাচককে উপদেশ দিয়ে কি কি বিষয় প্রস্তুত করতে হবে তার পরামর্শ করিগে । - বিলা। বাবা ! অনেক দূর এসেছ, ক্ষণকাল এই পর্যাঙ্কপার শয়ন করে থাক, তা হলে দৈহিক শ্রান্তি দূর হবে। [ উভয়ের প্রস্থান। চন্দ্র । (স্বগতঃ) অবোধ হৃদয়! তোমার প্রতি চিত্ররখ-তনয়ার কি প্রণয়-চিহ্ন দেখেছ যে, একেবারে তার প্রতি এতদূর অনুরক্ত হয়েছ ? যদি বিবেচনা কর যে, তিনি তোমার প্রতি সতৃষ্ণ নয়নে চাহিয়াছেন,—অবোধ ! কোন একটা নূতন সামান্য পদার্থ দেখলেও নবানুরাগে আমরা সেটার প্রতি বার বার দেখে থাকি,—তোমার সহ তিনি সদালাপ করেছেন,—সরল স্বভাব রাজপুত্ৰী, আমি তার ভবনে ছু চার দিনের কারণ আতিথ্য স্বীকার করেছি, তাতে তিনি আমার সহ সদালাপ না করে কি করেন ? এতে আর তোমার প্রতি র্তার অন্যভাব কি দেখেছ যে, অতদূর উচ্চ আশা করছে,—সাবধান, যেন আরবীয় মরীচিকর ন্যায় অবশেষে হতাশে প্রাণ বিনষ্ট না হয়। তোমার এমন কি গুণ আছে যে, অসামান্য ৰূপ-যৌবনশালিনী গন্ধৰ্ব্ব রাজকন্যা দুই চার দিনের মধ্যে তোমার প্রেমের বশীভূত হবেন ? পত্ৰলেখা তুরায় প্রত্যাগমন করবে, তা হলেই সমস্ত জানতে পার যাবে। যথার্থ, আশার কি মোহনীয় শক্তি! সমস্ত জগৎসংসার মধ্যে সকলেই আশার অধীন—ধনী, দরিদ্র, যুবতী, বৃদ্ধ সকলেই আশার সুরমণীয় পথে বিচরণ করে থাকেন, কেহই সে মোহনীয় পথ পরিত্যাগ করতে পারে না,—আমারও এক্ষণে সেই ৰূপ গতি
পাতা:কাদম্বরী নাটক.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।