কাদম্বরী নাটক। లిసి যে আজ গন্ধৰ্ব্ব-কুমারীর প্রিয় সহচরের সাক্ষাৎ লাভ হলেহেমকুটের সংবাদ কি ? কেয়ু (অধোমুখে) যুবরাজ! হেমকুটের সংবাদ বড় কুশলময় নয়। পত্ৰলেখা ও মেঘনাদকে সুবর্ণপুরে পরিত্যাগ করে হেমকুটে সংবাদ দিলেন যে, “ কুমার উজ্জয়িনী প্রত্যাগমন করেছেন।” এই কথা শ্ৰুতমাত্র, দেবী মহাশ্বেতা আকাশ পানে চাহিয়া দূঃখিতস্বরে “ এমন আশ্চৰ্য্য কুত্ৰাপি দৃষ্ট হয় না, কুমারের কি এই উচিত কাৰ্য্য হয়েছে ? ” বলে দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগান্তর আপন আশ্রমে চলে গেলেন। গন্ধৰ্ব্ব রাজপুত্র, তৎক্ষণ নেত্র নিমীলন পূর্বক সংজ্ঞ হীন হয়ে সিংহাসন হতে ধরাতলে পতিতা হলেন, তার পর সকল পরিচারিকাগণ বহুবিধ প্রযত্ন সহকারে যদ্যপিও তার চৈতন্য সাধন করেছে, কিন্তু অদ্যাপিও তিনি শয্যায় অনশনে মৌনব্রতে আছেন । রাগিণী বিভীষ।—ডাল আড়াঠেকা । কেমনে কোন পরাণে, সে কথা কহিব হায় । কহিতে বরিষে অখি, খেদে হৃদি বিদরায় ॥ তব আগমন শুনে, আছে দেবী অচেতনে, ধরাতলে অনশনে, হয়ে মৃতপ্রায়। বহে ক্ষীণ শ্বাস হেন, হেরে হয় অনুমান, বুঝি বা ত্যজে জীবন, তব প্রেমদায়। বৃন্দাবনে কৃষ্ণ বিনে, যেমন ছিল গোপীগণে, হেরেছি তেম্নি নয়নে, সেই প্রমদায় – চাহ যদি দেখিবারে, পুনঃ সেই প্রেয়সীরে, যাও তবে সৃসত্বরে, ই চাহ কলবালায় ॥
পাতা:কাদম্বরী নাটক.djvu/৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।