পাতা:কাদম্বরী নাটক.djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী নাটক। ৩৭ (নেপথ্যে গীত) রাগিণী পাহাড়িয়া।--তাল আড়াঠেক। ওরে নিদাৰুণ বিধি, কি বিধি করিলি। অবলা সরল বালা, কত জ্বালা ভারে দিলি । কোথা মম প্রাণধন, লয়েছ করি হরণ, বিয়োগীর দেহ মন, শোকানলে জ্বালাইলি । প্রাণে বিরহ যাতনা, আর সহেন সহেনা, আশা দিয়ে সে যাতন, বারে বারে বাড়াইলি ॥ ( মহাশ্বেতা ও তদ্‌পশ্চাতে বীণা হস্তে তরলিকার প্রবেশ ) মহা । সখিরে! কামিনীগণের যন্ত্রণার জন্য কি শুদ্ধ পুরুষগণের স্বষ্টি হয়েছিল ? একে তো প্ৰাণেশ্বরের বিরহে এতাবৎকাল অকথ্য কষ্ট স্বীকার করে, কালতিপাত করছি, তার পর প্রিয়সখী কাদম্বরী সহ উজ্জয়িনী রাজকুমারের প্রণয়চিহ্ন দর্শন করে সাতিশয় আনন্দিতা হয়েছিলেম,—কিন্তু হায়! কালের কি বিপৰ্য্যয় গতি! অমন সরল স্বভাব, বিদ্যা-বুদ্ধি-ৰূপ-গুণযুত রাজকুমার যে এতাদৃশ নিষ্ঠসুব্রতচরণে সক্ষম,এ আমি স্বপ্নেও বিশ্বাস করিনে। অগ্রে যদি জনৃতেমতা হলে কেন তাকে সহকারে করে গন্ধৰ্ব্বপুরে যাব ?—কেনইবার্তার সহসনশন করয়ে বিশুদ্ধা নিৰ্ম্মলা সরল কাদম্বরীর কৌমারী হৃদয়ে বিরহের বীজ রোপিত করবো? উঃ! কি ভীষণ ব্যাপার! মনে করলে হৃদয় বিদীর্ণ হয়, তার যদি মনে মনে অন্য প্রকার ভাব ছিল, তা হলে সরল স্বভাব-কুল-ললনার মন হরণ করবার কি প্রয়োজন ছিল? তার মন যদ্যপি পরহস্তগত, তা তিনি প্রথমে প্রকাশ করলেই তো পার