কাদম্বরী নাটক । to's নেপথ্যে। রে রাত্মা মকরকেতু ! তোর মোহনীয় শল্প প্রক্ষেপের কি জগতে আর পাত্র নাই ?—তাই আমায় জ্বালাতন করতে এলি ? চন্দ্রমা ! তোকে যে রাহু কেন গ্রাস করে না, আমি তাই ভাবি,—ত হলে তুই বিরহি জনকে এতাদৃশ কষ্ট প্রদান করতে সক্ষম হস্ না । উঃ ! কি যন্ত্রণ, আর মহ হয় না । মহা । (নিদ্রাভঙ্গে সচকিতে ) তরলিকে ! কোন মত্তজন-কণ্ঠনিঃস্থত শব্দ যেন আমার শ্রবণ কুহুরে প্রকৃষ্ট হলো না? তর। দেবি ! আমারও তদনুরূপ বোধ হচ্ছে, হাঃ ! (উন্মুক্তবেশে বৈশম্পায়নের প্রবেশ ) বৈশ । ( মহাশ্বেতার প্রতি ) অয়ি সুন্দরি! আমি তোমার শরণাপন্ন, আমায় শশাঙ্কের প্রখর রশ্মিজাল হতে রক্ষা কর,— মকরকেতু যেন পঞ্চশর যোজনা করে আমার সমস্ত শরীর জর্জরিত করছে, তুমি ভিন্ন এস্থানে আর কেহ নাই, অতএব তুমি আমায় রক্ষা কর । রাগিণী বিবিট।—তাল কাওয়ালী। অনুগত এ দাসের বাচাহ পরাণ । বড় জ্বালাতন করে, ফুল শরামন ॥ এসে এসে প্ৰাণেশ্বরী, যতনে হৃদয়ে ধরি, যন্ত্রণ সহিতে নারি, করহ প্রতিবিধান । তোম ছাড়া এ দাসেরে, কে আর রাখতে পারে, চরণে ধরিয়ে সাধি, ও বিধুবয়ান।
পাতা:কাদম্বরী নাটক.djvu/৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।