চতুর্থ অঙ্ক। দৃশ্য। উজ্জয়িনী—রাজবাটি। (অধোমুখে চন্দ্রাপীড় আসীন ) চন্দ্র। (স্বগতঃ) হৃদয়! গন্ধৰ্ব্ব রাজকুমারীর আমার উপর যে এতদূর অশিক্তি জন্মেছে, তা যদি জানতেম, তা হলে কি সেই সরলার প্রতি এমন অণ্যায়ীচরণ করি?—কখনই না। যা হোক, বয়স্য বৈশম্পায়ন এসে তুরীয় উপস্থিত হলে, তার সহ একটা যুক্তি করতেম,—কিন্তু তিনি যে কি জন্য আজও অচ্ছেদ-সরোবর-সন্নিদ্ধ উপবনে আছেন, তার তো কোন কারণ আমার অনুভূত হয় না । যে প্রকারেই হউক, আমায় হেমকুটে তুরায় যাত্রা করতে হচ্ছে। পিতার নিকট কি কারণ নির্দেশ করবে, সেইটী আমার মহা চিন্তার বিষয় । তাকে তো আর নিল্ল জ্জের ন্যায় বলতে পারি না যে “হেমকুটে গন্ধৰ্ব্ব রাজকুমারীর আমার উপর সাতিশয় আশক্তি হয়েছে,সেই জন্য আমায় ভূরায় রাজ্য পরিত্যাগ করে সে স্থানে যেতে হচ্ছে।" কিন্তু পিতার অজ্ঞাতসারে যাওয়াও যুক্তিসিদ্ধ নয়, তা হলে তিনি আমায় কি মনে করবেন ? হয় । আমার আদর্শনে প্রেয়সী না জানি কতদূর কাতরা হচ্ছেন। রাগিণী মুলতান।—তাল আড়াঠেকা। সদা ধায় তার কাছে, সাথে কি মন নয়ন। মম লাগি কত দুঃখে, আছে সেই প্রিয় জন ॥ আগে যদি এত জানি, আমারই সে বিনোদিনী, তা হলে থাকিতে প্রাণী, হয় কি হেন ঘটন। চল প্রাণ ত্বর করি, যথা আছে সে সুন্দরী, বলগে তার করে ধরি, ক্ষম দোষ প্রাণধন।
পাতা:কাদম্বরী নাটক.djvu/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।