१७ কদম্বরী নাটক । ( ভরিত্বকের প্রবেশ । ) তরি । মন্ত্রী মহাশয় । প্রণাম হই,— শুক ! তরিত্বক ! তুমি মহারাজের একজন প্রধান বিশ্বস্ত পত্র, যা যা ঘটনা হয়েছে বল, তোমার কোন ভয় নাই । তরি । দেব ! সে স্থানে যা দেখে এলেম, এমন কেহু কখন শ্রবণ করে নাই । --- শুক ! তরিত্বক ! যাহাই হউক, আমায় সমস্ত বিবরণ আনুপূর্বিক বর্ণন কর। তরি । দেব ! তবে শ্রবণ করুন, কিন্তু সহসা শোকে বা মায়ায় মোহিত হবেন না । শুক । তজ্জন্য তোমার কোন চিন্তা নাই। তরি । দেব ! কুমার, বৈশম্পায়ন উভয়েই সজ্জিত স্কন্ধারার সহকারে প্রথমে দিগ্বিজয়ে যাত্র করেন, সমস্ত স্থান জয় । করে সুবর্ণপুরে ছাউনি করে থাকেন, তৎপরে কুমার একদা সহচরগণ সমভিব্যাহারে কৈলাস পৰ্ব্বত সন্নিদ্ধ বনে মৃগয়ার্থ যাত্রা করেন, বনমধ্যে সকলকে পশ্চাদে রেখে একটা মায়ণরূপী কিন্নর মিথুনের অনুসরণে অচ্ছেদে সরোবরের নিকট যান, সেথায় গৌরী ও হংস গন্ধৰ্ব্ব কুমারী মহাশ্বেত নামী এক পাশুপতত্রতাবলম্বিনী তাপসীর সহ সাক্ষাৎ লাভ করেন, , পরিচয়ে সন্তুষ্ট হয়ে দেবী মহাশ্বেত কুমারকে হেমকূট গন্ধৰ্ব্ব রাজধানীতে নিয়ে যান, সেস্থানে তিনি চিত্ররথ কুমারী কাদস্বরীর প্রিয়পাত্র হন, এমন কি তার প্রত্যাগমনে কাদম্বরী সাতিশয় অধরা হয়ে, এখানে কেয়ুরক নাম এক গন্ধৰ্ব্ব দ্বার পত্র প্রেরণ করেন, কুমার প্রথমে গন্ধৰ্ব্বকুমারীর মনোভাব ।
পাতা:কাদম্বরী নাটক.djvu/৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।