পাতা:কাদম্বরী (কিশোরপাঠ্য).djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী যাক, যে-কথা বলিতেছিলাম। দারুণ পিপাসায় আমি কাতর হইয়া পড়িলাম। সরোবর দূরে রহিয়াছে, কিরূপে সেখানে যাইব তাহাই ভাবিতে লাগিলাম । বেলা তখন দুপুর হইয়াছে। প্রচণ্ড রৌদ্রে পথচলা আমার পক্ষে অসম্ভব হইল, তবু প্রাণের আশায় যাইতে লাগিলাম, কিন্তু একটু গিয়াই অস্থির হইয়া পড়িলাম। এই সময় সেই পথ দিয়া মহর্যি জাপালির পুত্র হাবীত বন্ধুর সঙ্গে সৰোবলে স্নান করিতে যাইতেছিলেন । আমাকে রাস্তার পাশে পড়িয়া থাকিতে দেপিয়৷ তিনি সঙ্গীকে বলিলেন ; ঐ দেখ একটি শুকের ছন, বোধ হয় উচু গাছ হইতে পড়িয়া গিয়াছে। বারবার ই কবিয়া জলপান কবিতে চাহিতেছে । চুল, চতাকে সরোববে লইয়। যাই । হারীত আমাকে কোলে তুলিয়া সরোবরে লইয়া গেলেন, ফোট ফোট, জল আমার মুখে দিলেন। আমি প্রাণ ফিরিয়া পাইলাম । श्वेमाहरू ছায়ায় বসাইয়। রাখিয় তাহারা স্নান করিলেন । তারপর আমাকে আবার কোলে লইয়া আশ্রমে আসিলেন । তপোবন দেখিয়া আমার আনন্দের সীমা রহিল না । গাছে গাছে ফল, লতায় লতায় ফুল, ফুলে ফুলে ভ্রমরের গুল্গুন গান । •• এলাচ ও লবঙ্গলতার ফুলের মধুর গন্ধ