কাদম্বরী। כף রোদন করিতে লাগিলেন। তাহার সেইরূপ অবস্থা ও আকার দেখিয়া স্থির করিলাম এক্ষণে উপদেশ দ্বারা ইহার কোন প্রতিকার হওয়া সম্ভব নহে। কিন্তু অসন্মার্গপ্রবৃত্ত মুহৃদকে কুপথ হইতে নিবৃত্ত করা সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম । যাহা হউক, আর কিছু উপদেশ দি । এই স্থির করিয়া তাহাকে বলিলাম সখে! ই আমি সকলই অবগত হইয়াছি। কিন্তু ইহাই জিজ্ঞাসা করি তুমি যে পদবীতে পদার্পণ করিয়াছ উহা কি সাধুসন্মত, কি ধৰ্ম্মশাস্থোপদিষ্ট পথ ? কি তপস্যার অঙ্গ ? কি স্বর্গ ও অপবর্গ লাভের উপায় ? এই বিগর্হিত পথ অবলম্বন করা দূরে থাকুক, এরূপ সঙ্কল্পকেও মনে স্থান দেওয়া উচিত নয়। মূঢ়েরাই অনঙ্গপাড়ায় অধীর হয়। নিৰ্ব্বোধেরাই হিতাহিত বিবেচনা করিতে পারে না । তুমিও কি তাহাদিগের স্তায় অসৎ পথে প্রবৃত্ত হইয়া সাধুদিগের নিকট উপহাসাম্পদ হইবে ? সাধুবিগর্হিত পথ অবলম্বন করিয়া মুখাভিলাষ কি ? পরিণামবিরস বিষয় ভোগে যাহারা মুখ প্রাপ্তির আশা করে, ধৰ্ম্মবুদ্ধিতে বিষলতাবনে তাহাদিগের জলসেক করা হয়। তাহারা কুবলয়মালা বলিয়া অসিলতা গলে দেয়, মহারত্ব বলিয়৷ জলন্ত অঙ্গার স্পর্শ করে, মৃণাল বলিয়া মত্ত হস্তীর দস্ত উৎপাটন করিতে যায়, রঞ্জু বলিয়া কালসৰ্প ধরে । দিবাকরের স্তায় জ্যোতি ধারণ করিয়াও খদ্যোতের ন্যায় আপনাকে দেখাইতেছ কেন ? সাগরের ন্যায় গম্ভীরস্বভাব হইয়াও উন্মার্গপ্রস্থিত ও উদ্বেল ইন্দ্রিয়ম্রোতের সংযম করিতেছ না কেন ? এক্ষণে আমার কথা রাখ, ক্ষুভিতচিত্তকে সংযত কর, ধৈৰ্য্য ও গাম্ভীৰ্য্য অবলম্বন করিয়া চিত্তবিকার দূর করিয়া দাও। ৫
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।