৭২ कोक्रझझैौ । এইরূপ উপদেশ দিতেছি এমন সময়ে ধারাবাহী অশ্রবারি তাহার নেত্রযুগল হইতে গলিত হইল। আমার হস্ত ধারণপূর্বক বলিলেন সখে । অধিক কি বলিব, আশীবিষ বিষের ন্যায় বিষম কুমুমশরের শরসন্ধানে পতিত হও নাই, মুখে উপদেশ দিতেছ। যাহার ইঞ্জিয় আছে, মন আছে, দেখিতে পায়, শুনিতে পায়, হিতাহিত বিবেচনা করিতে পারে, সেই উপদেশের পাত্র। আমার তাহা কিছুই নাই। আমার নিকটে ধৈর্য্য, গাম্ভীৰ্য্য, বিবেচনা এ সকল কথাও অস্তগত হইয়াছে । এ সময় উপদেশের সময় নয় । যাবৎ জীবিত থাকি এই অচিকিৎসনীয় রোগের প্রতীকারের চেষ্টা পাও । আমার অঙ্গ দগ্ধ ও হৃদয় জর্জরিত হইতেছে। এক্ষণে যাহা কৰ্ত্তব্য কর, এই বলিয়া নিস্তন্ধ হইলেন । ৬ যখন উপদেশবাক্যের কোন ফল দর্শিল না এবং দেখিলাম র্তাহার হৃদয়ে অনুরাগ এরূপ দৃঢ়ৰূপে বদ্ধমূল হইয়াছে যে, তাহ উন্মুলিত করা নিতান্ত অসাধ্য, তখন প্রাণরক্ষার নিমিত্ত সরেবরের সরল মৃণাল, শীতল কমলিনীদল ও স্নিগ্ধ শৈবাল তুলিয়া শয্যা করিয়া দিলাম এবং তথায় শয়ন করাইয়া কদলীপত্র দ্বারা বীজন করিতে লাগিলাম। তৎকালে মনে হইল দুরাত্মা দপ্ত মদনের কিছুই অসাধ্য নাই। কোথায় বা বনবাসী তপস্বী, কোথায় বা বিলাসরাশি গন্ধৰ্ব্বকুমারী। ইহাদিগের মনে পরস্পর অনুরাগ সঞ্চার হইবে ইহা স্বপ্নের অগোচর। শুষ্ক তরু মঞ্জরিত হইবে এবং মাধবীলতা তাহাকে অবলম্বন করিয়া উঠিবে ইহা কাহার মনে বিশ্বাস ছিল ? চেতনের কথা কি ! অচেতন তরু লতা প্রভৃতিও উহার আজ্ঞার অধীন। দেবতারাও উহার শাসন উল্লঙ্ঘন করিড়ে
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।