পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ মহাশ্বেতার অভিসার, পুণ্ডরকের তিরোভাব ও কপিঞ্জলের অন্তধর্ণন এই কথা বলিতে বলিতে চন্দ্রোদয় হইল। নবোদিত চন্দ্রের আলোক অন্ধকার মধ্যে পতিত হওয়াতে বোধ হইল যেন, জাহ্নবীর তরঙ্গ যমুনার জলের সহিত মিলিত হইয়াছে। সুধাংশুসমাগমে যামিনী জ্যোৎস্না রূপ দশনপ্রভা বিস্তার করিয়া যেন আহলাদে হাসিতে লাগিল। চন্দ্রেীদয়ে গাম্ভীৰ্য্যশালী সাগরও ক্ষুব্ধ হইয়া তরঙ্গ রূপ বাহু প্রসারণপূর্বক বেলা আলিঙ্গন করে। সে সময়ে অবলার মন চঞ্চল হইবে আশ্চৰ্য্য কি ? চন্ত্রের সহায়তা ও মলয়নিলের অনুকূলতায় আমার হৃদয়স্থিত মদনানল প্রবল হইয়া জলিয়া উঠিল। চন্দ্রের দিকে নেত্রপাত করিয়াও চারি দিকে মৃত্যুমুখ দেখিতে লাগিলাম। অন্ধকারে লক্ষ্য স্থির করিতে না পারিয়া কুমুমচাপ নিন্তব্ধ হইয়াছিল এক্ষণে সময় পাইয়া শরাসনে শর সন্ধানপূর্বক বিরহিণীদিগের অন্বেষণ করিতে লাগিল। আমিই উহার প্রথম লক্ষ্য হইলাম। নেত্রযুগল নিমীলিত ও অঙ্গ অবশ করিয়৷ মূৰ্ছা অজ্ঞাতসারে আমাকে আক্রমণ করিল। তরলিকা সভয়ে ও সসন্ত্রমে গাত্রে শীতল চন্দনজল সেচনপূর্বক তালবৃন্ত দ্বারা বীজন করিতে লাগিল, ক্রমে চৈতন্য প্রাপ্ত হইয়া নয়ন উন্মীলনপূর্বক দেখিলাম তরলিকা বিষণ্ণবদনে ও দীননয়নে রোদন