কাদম্বরী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার দত্ত এবং দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন । এই তিন জন মনীষীরই ঋণ বঙ্গভাষাজননী কখনও পরিশোধ করিতে পরিবেন না । ইহার বঙ্গসাহিত্যের এক এক দিকের এক একটি দিকপাল। আর একটি এইরূপ বিচিত্র ও আশ্চৰ্য্য ঘটনার উল্লেখ করিবার লোভ সংবরণ করিতে পারিতেছি না । তারাশঙ্করের জন্মের ঠিক আট বৎসর পরে, একই সালে, অর্থাৎ ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে, বাঙ্গালার আর চার জন স্বনামধন্য পুরুষ জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন—বঙ্কিমচন্দ্র, হেমচন্দ্র, কেশবচন্দ্র ও কৃষ্ণদাস। দুঃখ হয়, আর ১৮২, অথবা ১৮৩৮ সাল ফিরিয়া আসিবে না ! এই অবসরে আমি বঙ্গের সপ্তর্ষিমণ্ডলীকে বারবার নমস্কার করিতেছি। সুতরাং তারাশঙ্কর বিদ্যাসাগর মহাশয় অপেক্ষ বয়সে দশ বৎসরের ছোট এবং বঙ্কিমচন্দ্র অপেক্ষ আট বৎসরের বড় । তারাশঙ্করের পিতার সাংসারিক অবস্থা বেশ সচ্ছল ছিল না,— ব্রাহ্মণ কোন গতিকে সংসারধৰ্ম্ম পালন করিতেন । তারাশঙ্কর স্বীয় গ্রামের পাঠশালায় লেখাপড়া শিখিয়া কিছু দিন গ্রামস্থ চতুষ্পাঠীতে অধ্যয়ন করেন এবং পরে কলিকাতার সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করেন। তিনি তথায় কাব্য ও দর্শন পাঠ করিতেন। দর্শনের শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া তিনি তর্করত্ন’ উপাধি লাভ করেন। কেহ কেহ বলেন, তাহার আর একটি উপাধি ছিল “কবিরত্ব, কিন্তু এ বিষয়ে আমি
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।