কাদম্বরী । t٩سو উদ্ভাবনপুৰ্ব্বক অপরিচিতের ন্যায় আজন্মপরিচিত বান্ধবজনের পরিত্যাগ এবং অকিঞ্চিৎকর পদার্থের ন্যায় সাংসারিক সুখে জলাঞ্জলি প্রদান করিয়াছেন। ব্রহ্মচৰ্য্য অবলম্বনপূৰ্ব্বক তপস্বিনীবেশে জগদীশ্বরের আরাধনা করিতেছেন । অনন্তমনা হইয়া প্ৰাণেশ্বরের সহিত সমাগমের উপায় চিন্তা করিতেছেন। এতদ্ব্যতিরিক্ত বিশুদ্ধ প্রণয় পরিশোধের আর পন্থা কি ? ১৩ শাস্ত্রকারেরা অনুমরণকে যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রণালী বলিয়া নির্দেশ করেন উহা ব্যামোহমাত্র। মূঢ় ব্যক্তিরাই মোহবশত: ঐ পথে পদার্পণ করে। ভর্তা উপরন্ত হইলে তাহার অনুগমন করা মূৰ্খতা প্রকাশ করা মাত্র। উহাতে কিছুই উপকার নাই। না উহ মৃত ব্যক্তির পুনর্জীবনের উপায়, না তাহার শুভ লোক প্রাপ্তির হেতু, না পরস্পর দর্শন ও সমাগমের সাধন। জীবগণ নিজ নিজ কৰ্ম্মানুসারে শুভাশুভ লোক প্রাপ্ত হয় ; সুতরাং অহমরণ দ্বারা যে পরস্পর সাক্ষাৎ হইবে তাহার নিশ্চর কি ? লাভ এই অতুমূত ব্যক্তিকে আত্মহত্যাজন্ত মহীপাপে লিপ্ত হইয়া ঘোর নরকে চির কাল বাস করিতে হয়। বরং জীবিত থাকিলে সৎকৰ্ম্ম দ্বারা স্বীয় উপকার ও শ্রাদ্ধতপণাদি দ্বারা উপরতের উপকার করিতে পারা যায়, মরিলে কাহারও কিছুই উপকার নাই। অনুমরণ পতিব্ৰতার লক্ষণ নর। দেখ, রতি পতির মরণের পর ত্রিলোচনের নরনানলে আত্মাকে আহুতি প্রদান করে নাই। শূরসেন রাজার দুহিতা পৃথ, পাণ্ডুর মরণোত্তর অমুম্বত হয় নাই। বিরাট রাজার কন্যা উত্তর, অভিমত্যুর, মরণে আপন প্রাণ পরিত্যাগ করে নাই। ধৃতরাষ্ট্রের কস্তা দুঃশলা জয়ন্দ্রথের মরণোত্তর অর্জুনের শরানলে আপনাকে
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।