নবম পরিচ্ছেদ কাদম্বরী-সন্দর্শনে চন্দ্রাপীড় মহাশ্বেত কহিলেন মহাভাগ ! অপরদিগের এক কুল অমৃত হইতে সমুদ্ভূত হয় আপনাকে কহিয়াছি। সেই কুলে মদিরা নামে এক কন্যা জন্মে । গন্ধৰ্ব্বের অধিপতি চিত্ররথ র্তাহার পাণি গ্রহণ করেন এবং তাহার গুণে বশীভূত হইয়া ছত্র চামর প্রভৃতি প্রদানপূৰ্ব্বক তাহাকে মহিষী করেন। কালক্রমে মহিষী গর্ভবতী হইয়া যথাকালে এক কন্যা প্রসব করেন । কন্যার নাম কাদম্বরী। কাদম্বরী নিৰ্ম্মলা শশিকলার হায় ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়া এরূপ রূপবতী ও গুণবতী হইলেন যে, সকলেই তাহাকে দেখিলে আনন্দিত হইত ও অত্যন্ত ভালবাসিত। শৈশবাবধি একত্র শয়ন, একত্র অশন, একত্র অবস্থান প্রযুক্ত আমি কাদম্বরীর প্রণয়পাত্র ও স্নেহপাত্র হইলাম। সৰ্ব্বদা একত্র ক্রীড়া কৌতুক করিতাম। এক শিক্ষকের নিকট নৃত্য, গীত, বাদ্য ও বিদ্যা শিখিতাম, এক শরীরের মত দুই জনে একত্র থাকিতাম। ক্রমে এরূপ আকৃত্রিম সৌহার্দ জন্মিল যে, আমি তাহাকে সহোদরার ন্যায় জ্ঞান করিতাম ; তিনিও আমাকে আপন হৃদয়ের ন্যায় ভাবিতেন। এক্ষণে আমার এই দুরবস্থা শুনিয়া প্রতিজ্ঞ করিয়াছেন যাবৎ মহাশ্বেতা এই অবস্থায় থাকিবেন তাবৎ আমি বিবাহ করিব না। যদি পিতা, মাতা অথবা বন্ধুবৰ্গ বলপূর্বক আমার বিবাহ দেন তাহা
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।