পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

33 কাদম্বরী । বস্তুর স্বষ্টি করিয়া থাকিবেন। ক্রমে গন্ধৰ্ব্বকুমারীর ও রাজকুমারের চারি চক্ষু একত্র হইল। কাদম্বরী রাজকুমারকে দেখিয়া মনে মনে কহিলেন কেয়ূরক যে অপরিচিত যুবা পুরুষের কথা কহিতেছিল, বোধ হয়, ইনিই সেই ব্যক্তি। আহা ! এরূপ সুন্দর ত কখন দেখি নাই। গন্ধৰ্ব্বনগরেও এরূপ রূপাতিশয় দেখিতে পাওয়া যায় না। এইরূপে উভয়ের সৌন্দর্য্যে উভয়ের মন আকৃষ্ট হইল । কাদম্বরী নিমেষশূন্ত লোচনে চন্দ্রাপীড়ের রূপ লাবণ্য বারম্বার অবলোকন করিতে লাগিলেন ; কিন্তু পরিতৃপ্ত হইলেন না। যত বার দেখেন মনে নব নব প্রীতি জন্মে। ৭ বহু কালের পর প্রিয়সর্থী মহাশ্বেতাকে সমাগত দেখিয়া কাদম্বরী আনন্দসাগরে মগ্ন হইলেন ও সহসা গাত্ৰোখান করিয়া সস্নেহে গাঢ় আলিঙ্গন করিলেন। মহাশ্বেতাও প্রত্যালিঙ্গন করিয়৷ কহিলেন সখি ! ইনি ভারতবর্ষের অধিপতি মহারাজ তারাপীড়ের পুত্র, নাম চন্দ্রাপীড়। দিগ্বিজয়বেশে আমাদের দেশে উপস্থিত হইয়াছেন। দর্শনমাত্র আমার নয়ন ও মন হরণ করিয়াছেন। কিন্তু কিরূপে হরণ করিয়াছেন তাহ বুঝিতে পারি নাই। প্রজাপতির কি চমৎকার নির্মাণকৌশল ! এক স্থানে সমুদায় সৌন্দর্ঘ্যের সুন্দররাপ সমাবেশ করিয়াছেন। ইনি বাস করেন বলিয়া মর্ত্যলোক এক্ষণে সুরলোক হইতেও গৌরবান্বিত হইয়াছে। তুমি কখন সকল বিদ্যার ও সমুদায় গুণের এক স্থানে সমাগম দেখ নাই, এই নিমিত্ত অনুরোধবাক্যে বশীভূত করিয়া ইহাকে এখানে আনিয়াছি। তোমার কথাও ইহার সাক্ষাতে বিশেষ করিয়া বলিয়াছি। ইনি অদৃষ্টপূৰ্ব্ব এই লজ্জা পরিত্যাগ করিয়া, অপরিচিত এই অবিশ্বাস