কাদম্বরী । స్పిరిvEr গন্ধৰ্ব্বরাজ কাদম্বরীকে দেন। অমৃতমথনসময়ে দেবগণ ও অস্বরগণ সাগরের অভ্যস্তর হইতে সমস্ত রত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন, কেবল ইহাই শেষ ছিল এই নিমিত্ত এই হারের নাম শেষ। গগনমণ্ডলেই চন্দ্রের উদয় শোভাকর হয় এই বিবেচনা করিয়া রাজকুমারের কণ্ঠে পরাইয়া দিবার নিমিত্ত এই হার পাঠাইয়াছেন। এই বলিয়া চন্দ্রাপীড়ের কণ্ঠদেশে হার পরাইয়া দিল। চন্দ্রাপীড় কাদম্বরীর সৌজন্য ও দাক্ষিণ্য এবং মদলেখার মধুর বচনে চমৎকৃত ও বিন্মিত হইয়া কহিলেন তোমাদিগের গুণে অতিশয় বশীভূত হইয়াছি। কাদম্বরীর প্রসাদ বলিয়া হার গ্রহণ করিলাম। অনন্তর সন্তোষজনক নানা কথা বলিয়া ও কাদম্বরীর সম্বদ্ধ নানা সংবাদ শুনিয়া মদলেখাকে বিদায় করিলেন। ২ কাদম্বরী চন্দ্রাপীড়ের আদর্শনে অধীর হুইয়া পুনৰ্ব্বার প্রাসাদের শিখরদেশে আরোহণ করিলেন । দেখিলেন তিনিও উজ্জল মুক্তাময় হার কণ্ঠে ধারণ করিয়া ক্রীড়াপর্বতের শিখরদেশে বিহার করিতেছেন । গন্ধৰ্ব্বনন্দিনী কুমুদিনীর ন্যায় চন্দ্রসদৃশ চন্দ্রাপীড়ের দর্শনে মুখবিকাস প্রভৃতি নানা বিলাস বিস্তার করিতে লাগিলেন। ক্রমে দিবাবসান হইল। স্বৰ্য্যমণ্ডল, দিওল ও গগনমণ্ডল রক্তবর্ণ হইল। অন্ধকারের প্রাদুর্ভাব হওয়াতে দর্শনশক্তির হ্রাস হইয়া আসিল । কাদম্বরী সৌধশিখর হইতে ও চন্দ্রাপীড় ক্রীড়াপর্বতের শিখরদেশ হইতে নামিলেন। ক্রমে মুধাংশু উদিত হইয়া স্বধাময় দীধিতি দ্বারা পৃথিবীকে জ্যোৎস্নাময় করিলেন। চন্দ্রাপড় মণিমন্দিরে শয়ন করিয়া আছেন এমন সময়ে কেয়ুরক আসিয়া কহিল রাজকুমার। কাদম্বরী আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিতে
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।