পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৫১

*Sobe কাদম্বরী । পর দিন প্রভাতকালে পটনগুপে বসিয়া আছেন এমন সময়ে কেয়ূরক আসিয়া প্রণাম করিল। রাজকুমার প্রথমতঃ অপাঙ্গবিস্তৃত নেত্রযুগল দ্বারা তদনন্তর প্রসারিত বাহুযুগল দ্বারা কেয়ূরককে আলিঙ্গন করিয়া মহাশ্বেতা, কাদম্বরী এবং কাদম্বরীর সর্থীজন ও পরিজনদিগের কুশলবাৰ্ত্ত জিজ্ঞাসিলেন। কেয়ুরক কহিল রাজকুমার ! এত আদর করিয়া যাহাদিগের কথা জিজ্ঞাসা করিতেছেন তাহাদিগের কুশল, সন্দেহ কি ? কাদম্বরী বদ্ধাঞ্জলি হইয়া অকুনয়পূৰ্ব্বক এই বিলেপন ও তাম্বুল গ্রহণ করিতে অনুরোধ করিয়াছেন। মহাশ্বেতা বলিয়া পঠাইয়াছেন “রাজকুমার ! যাহারা আপনাকে নেত্র পথের অতিথি করে নাই তাহারাই ধন্য ও মুথে কাল যাপন করিতেছে। যে গন্ধৰ্ব্বনগর আপনি উৎসময় ও আনন্দময় দেখিয়া গিয়াছেন তাহ এক্ষণে আপনার বিরহে দীন বেশ ধারণ করিয়াছে। আমি সমুদায় পরিত্যাগ করিয়াছি, রাজকুমারকেও বিস্তৃত হইবার চেষ্টা পাইতেছি, কিন্তু আমার মন বারণ না মানিয়া সেই মুখচন্দ্ৰ দেখিতে সৰ্ব্বদা উৎসুক। কাদম্বরী দিবসবিভাবী আপনার প্রফুল্ল মুখকমল স্মরণ করিয়া অতিশয় অসুস্থ হইতেছেন। অতএব আর এক বার গন্ধৰ্ব্বনগরে পদার্পণ করিলে সকলে চরিতার্থ হই ।” শেষনামক হার শয্যায় বিস্তৃত হইয়। ফেলিয়া আসিয়াছিলেন তাহাও আপনাকে দিবার নিমিত্ত এই চামরধারিণীর করে পাঠাইয়াছেন। কেয়ূরকের মুখে কাদম্বীর ও মহাশ্বেতার সন্দেশ বাক্য শ্রবণ করিয়া রাজকুমার অতিশয় আনন্দিত হইলেন। স্বহস্তে হার, বিলেপন ও তাম্বুল গ্রহণ করিলেন। অনন্তর কেয়ূরকের সহিত মন্দুরায় গমন করিলেন। যাইতে যাইতে