কাদম্বরী ভাষার সীমানির্দেশক দুষ্টপানি বিভিন্ন গ্ৰন্থই একত্র পাঠ করিবার মুযোগ পাইয়াছেন। এইরূপ সুব্যবস্থা ও সুপাঠ্য-নিরূপণ করিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তথা শ্রদ্ধেয় শ্ৰীযুক্ত খামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মহাশয় বঙ্গভাষাভাষি-মাত্রেরই ধন্যবাদাপ্ত হইয়াছেন, সন্দেহ নাই । এইবার বঙ্কিমযুগের একজন বিখ্যাত, প্রবীণ ও বহুদশী সমালোচকের মন্তব্য উদ্ধার করিতেছি। অামার পিতৃদেব অক্ষয়চন্দ্র সরকার মহাশয় লিখিয়াছেন :– --- "দক্ষিণে লক্ষ্মীস্বরূপ তত্ত্ববোধিনী, তৎপার্থে উপবীতবক্ষে গণেশমূৰ্ত্তি বিদ্যাসাগর, বামে সাক্ষাৎ সরস্বতী-স্বরূপ ভারতচন্দ্র, তৎপার্থে ময়ূর-চুড়া টেরি-কাট কাৰ্ত্তিকেয়স্বরূপ ঈশ্বর গুপ্ত, মধ্যে সাক্ষাৎ মহাদেবতা পিতৃদেব, চালচিত্রে শিবরূপী মদনমোহন, —সাহিত্যে আমি এই মহাপ্রতিমার উপাসক । •••তবে অন্য পঞ্চদেবতার উপাসনা অতি শৈশবেও যেমন করিয়াছি, এখনও তেমনি করিতেছি। তারাশঙ্করের_বষ্কার খুব। ককারে স্বর তাল_ণ্ডুবিয়া থাকে। শুনিতে মধুর কাজে লাগে-বড়-ক্সকাদম্বী পাঠে মুগ্ধ হইতায়.সুস্থিত হইতাম-ৰক্ষিত হইড্রাম-কিন্তু কখন নিজের জিনিষ বলিয়া মনে করিতে পাব্রিতাম না। কাদম্বর চমক দিত, কিন্তু প্ৰাণে ਗਿਣੇ। ) কিন্তু অন্নদামঙ্গলের ছনা, ঈশ্বর গুপ্তের লহর, অক্ষয়কুমারের গাম্ভীৰ্য্য, বিদ্যাসাগরের প্রসাদগুণ তখন হইতেই প্রাণে বাজিত, প্রাণে লাগিত, প্রাণে বসিয়া যাইত ।. (পিতার) এই সাক্ষ্য মজলিসে বিশুদ্ধ সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গসাহিত্যের চর্চা বিশেষরূপে হইত।...সেই সাহিত্যের আন্দোলনে আনন্দের ফুয়ারা উঠিত। আমার মনে পড়ে যে দিন তারাশঙ্করের কাদম্বরীর প্রথমে পাঠ আরম্ভ হইল। স্ত্ররামচন্দ্র বিবাহ করির অযোধ্যায় আসিতেছেন, পথিমধ্যে বাল্মীকি
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।