পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী। -১২৭ পহুছিয়া আমার নাম করিয়া কাদম্বরীকে কহিবে যে, আমি বাটী আসিবার কালে তোমাদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া আসিতে পারি নাই তজ্জন্তু অত্যন্ত অপরাধী আছি । তোমরা আমার সহিত যেরূপ সরল ব্যবহার করিয়াছিলে, আমার তদনুরূপ কৰ্ম্ম করা হয় নাই। এক্ষণে স্বীয় ঔদার্য্যগুণে ক্ষমা করিলে অনুগৃহীত হইব । ৪ পত্ৰলেখা, মেঘনাদ ও কেয়ূরক বিদায় হইলে রাজকুমার বৈশম্পায়নের সহিত সাক্ষাৎ করিতে অতিশয় উৎসুক হইলেন। র্তাহার আগমন পৰ্য্যন্ত প্রতীক্ষা করিতে পারিলেন না। আপনিই স্কন্ধাবারে যাইবেন স্থির করিয়া মহারাজের আদেশ লইতে গেলেন। রাজা প্রণত পুত্রকে সম্বেহে আলিঙ্গন করিয়া গাত্রে হস্ত স্পর্শপূৰ্ব্বক শুকনাসকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন অমাতা! চন্দ্রাপীড়ের শ্মশ্ররাজি উদ্ভিন্ন হইয়াছে। এক্ষণে পুত্রবধুর মুখাবলোকন দ্বারা আত্মাকে পরিতৃপ্ত করিতে বাঞ্ছা হয়। মহিষীর সহিত পরামর্শ করিয়া সম্রাস্তকূলজাত উপযুক্ত কন্যার অন্বেষণ কর। মন্ত্রী কহিলেন মহারাজ ! উত্তম কল্প বটে। রাজকুমার সমুদায় বিদ্যা শিথিয়াছেন, উত্তমরূপে রাজ্য শাসন ও প্রজা পালন করিতেছেন। এক্ষণে নববধূর পাণিগ্রহণ করেন ইহা সকলেরই বাছা। চন্দ্রাপীড় মনে মনে কহিলেন কি সৌভাগ্য । গন্ধৰ্ব্বকুমারীর সহিত সমাগমের উপায়চিন্ত সমকালেই পিতার বিবাহ দিবার অভিলাষ হইয়াছে। এই সময় বৈশম্পায়ন আসিলে প্রিয়তমার প্রাপ্তিবিষয়ে আর কোন বাধা থাকে না। অনন্তর স্কন্ধাবারে প্রতুগমনের নিমিত্ত পিতার আদেশ প্রার্থনা করিলেন। রাজাও সন্মত হইলেন। বৈশম্পায়নকে দেখিবার নিমিত্ত