কাদম্বরী। SBS পাইলেন না, তখন ভগ্নোৎসাহচিত্তে চিন্তা করিলেন পত্ৰলেখার মুখে আমার আগমন সংবাদ শুনিয়া বন্ধু বুঝি এখান হইতে প্রস্থান করিয়া থাকিবেন। এখানে থাকিলে অবশ্য অবস্থান চিচ দেখিতে পাওয়া যাইত। বোধ হয়, তিনি নিরুদ্দেশ হইয়াছেন। এক্ষণে কোথায় ঘাই, কোথায় গেলে বন্ধুর দেখা পাই। যে আশা অবলম্বন করিয়া এত দিন জীবন ধারণ করিয়াছিলাম, তাহার মূলোচ্ছেদ হইল। শরীর অবশ হইতেছে, চরণ আর চলে ন। একবারে ভগ্নোৎসাহ হইয়াছি, অন্তঃকরণ বিষাদসাগরে নিমগ্ন হইতেছে। সকলই অন্ধকার দেখিতেছি। ১১ আশার কি অপরিসীম মহিমা ! চন্দ্রাপীড় সরসীতীরে বন্ধুকে দেখিতে না পাইয়া ভাবিলেন এক বার মহাশ্বেতার আশ্রম দেখিয়া আসি । বোধ হয়, মহাশ্বেতা সন্ধান বলিতে পারেন । এই স্থির করিয়া ইন্দ্রায়ুধে আরোহণপূর্বক তথায় চলিলেন। কতিপয় পরিচারকও সঙ্গে সঙ্গে গেল। আসিবার সময় মনোরথ করিয়াছিলেন মহাশ্বেতা আমার গমনে সাতিশয় সন্তুষ্ট হইবেন এবং আমিও আহলাদিতচিত্তে র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিব। কিন্তু বিধাতার কি চাতুী! ভবিতব্যতার কি প্রভাব ! মহুষ্যেরা কি অন্ধ এবং তাহাদিগের মনোরথ কি অলীক । চন্দ্রপীড় বন্ধুর বিয়োগে দুঃখিত হইয়া অনুসন্ধানের নিমিত্ত র্যাঙ্গর নিকট গমন করিলেন, দূর হইতে দেখিলেন, তিনি শিলাতলে উপবিষ্ট হইয়া অধোমুখে রোদন করিতেছেন। তরলিকা বিষণ্ণবদনে ও দুঃখিতমনে তাহীকে ধরিয়া আছে। মহাশ্বেতার তাদৃশ অবস্থা দেখিয়া যৎপরোনাস্তি ভীত হইলেন। ভাবিলেন, বুঝি
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।