চতুর্দশ পরিচ্ছেদ চন্দ্রাপীড়ের দেহত্যাগ চন্দ্রাপীড় নয়ন নিৰ্মীলনপূর্বক মহাশ্বেতার কথা শুনিতেছিলেন। কথা সমাপ্ত হইলে কছিলেন ভগবতি । এ জন্মে কাদম্বরীসমাগম ভাগ্যে ঘটিয়া উঠিল না । জন্মান্তরে যাহাতে সেই প্রফুল্ল মুখারবিন্দ দেখিতে পাই এরূপ সত্ব করিও । বলিতে বলিতে তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইল। যেমন শিলাতল হইতে ভূতলে পড়িতেছিলেন অমনি তরলিকা মহাশ্বেতাকে ছাড়িয়া শশব্যস্তে হস্ত বাড়াইয়া ধরিল এবং কাতরস্বরে কহিল ভৰ্ত্তদারিকে । দেখ দেখ, কি সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত ! চন্দ্রাপীড় চৈতন্তশূন্ত হইয়াছেন । মুতদেহের ন্যায় গ্রীবা ভগ্ন হইয়া পড়িতেছে। নেত্র নির্মীলিত হইয়াছে। নিশ্বাস বহিতেছে না । জীবনের কোন লক্ষণ নাই। এ কি দুৰ্দৈব—এ কি সৰ্ব্বনাশ !—হা দেব, কাদম্বরীপ্রাণবল্লভ । কাদম্বরীর কি দশ ঘটিল। এই বলিয়া তরলিক মুক্তকণ্ঠে রোদন করিয়া উঠিল। মহাশ্বেত। সসন্ত্রমে চন্দ্রাপীড়ের প্রতি চক্ষু নিক্ষেপ করিলেন এবং সেইরূপ অবস্থা দেখিয়া হতবুদ্ধি ও চিত্রিতের ন্যায় নিশ্চেষ্ট হইয়া রহিলেন। আঃ—পাপীষ্মসি, দুষ্ট তাপলি ! কি করিলি, জগতের চন্দ্র হরণ করিলি, মহারাজ তারাপীড়ের সর্বস্ব অপহৃত হইল, মহিষী বিলাসবতীর সর্বনাশ উপস্থিত হইল, পৃথিবী অনাথা হইল! হায়—এত দিনের পর উজ্জয়িনী পৃষ্ঠ
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।