কাদম্বরী। S(S ন, অতএব তাঙ্গকে বনে ছাডিয়া দিও। কোন তপস্বীকে ক্রীড়াপর্বত প্রদান করিও । আমার এই অঙ্গের ভূষণ গ্রহণ কর, ইহা কোন দীন ব্রাহ্মণকে সমর্পণ করিও । বীণা ও অন্স সামগ্ৰী বাহা তোমার রুচি হয় আপনি রাখিও । আমি এক্ষণে বিদায় হইলাম, আইস, এক বার জন্মের শোধ আলিঙ্গন ও কণ্ঠগ্রহণ করিয়া শরীর শীতল করি। চন্দ্রকিরণে, চন্দনরসে, শীতল জলে, সুশীতল শিলাতলে, কমলিনীপত্রে, কুমুদ, কুবলয় ও শৈবালের শয্যায় আমার গাত্র দগ্ধ ও জর্জরিত হইয়াছে। এক্ষণে প্ৰাণেশ্বরের কণ্ঠ গ্রহণপূর্বক উজ্জ্বলিত চিন্তানলে শরীর নির্বাপিত করি। মদলেখাকে এই কথা বলিয়া মহাশ্বেতার কণ্ঠ ধারণপূর্বক কহিলেন প্রিয় সখি! তুমি আশাৰূপ মৃগতৃঞ্চিকার মোহিত ইয়া ক্ষণে ক্ষণে মরণাধিক যন্ত্রণা অহুভব করিয়া মুখে জীবন ধারণ করিতেছ। এই অভাগিনীর আবার সে আশাও নাই। এক্ষণে জগদীশ্বরের নিকট প্রার্থনা, যেন জন্মান্তরে প্রিয় সর্থীর দেখা পাই। এই বলিয়া চন্দ্রীপীড়ের চরণদ্বয় অঙ্কে ধারণ করিলেন। স্পর্শমাত্র চন্দ্রাপীড়ের দেহ হইতে উজ্জল জ্যোতি উদগত হইল । জ্যোতির উজ্জ্বল আলোকে ক্ষণ কাল সেই প্রদেশ কৌমুদীময় বোধ হইল। ৪ অনন্তর অন্তরীক্ষে এই বাণী বিনির্গত হইল “ বংসে মহাশ্বেতে । আমার কথার আশ্বাসে छूमि জীবন ধারণ করিতেছ। অবশ্য প্রিয়তমের সহিত সাক্ষাৎ হইবে, সন্দেহ করিও না। পুগুরীকের শরীর আমার তেজঃস্পর্শে অবিনাশী ও অবিকৃত হইয়া মদীয় লোকে আছে। চন্দ্রাপীড়ের এই শরীরও মত্তেজোময় অবিনাশী। বিশেষত: কাদম্বরীর করম্পর্শ হওয়াতে ইহার আর ক্ষয় নাই।
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।