Stూరి कोमल्लो । হইয়া কাঠের পিঞ্জরে আমাকে বদ্ধ করিয়া রাখিল। পিঞ্জরবদ্ধ হইয়া ভাবিলাম, যদি বিনয়পূৰ্ব্বক কষ্ঠার নিকট আত্মমোচনের প্রার্থনা করি, তাহা হইলে, যে নিমিত্ত আমাকে ধরিয়াছে তাহারই পরিচয় দেওয়া হয়। অর্থাৎ মনুষ্যের ন্যায় সুস্পষ্ট কথা কহিতে পারি বলিয়া ধরিয়াছে, তাহাই সপ্রমাণ করা হয়। যদি কথা না কহি, তাহা হইলে, শঠতা করিয়া কথা কহিতেছে না ভাবিয়া অধিক যন্ত্রণা দিতে পারে। যাহা হউক, বিষম সঙ্কটে পড়িলাম। কথা কহিলে কখন মোচন করিবে না, বরং না কহিলে অবজ্ঞা করিয়া ছাড়িয়া দিলেও দিতে পারে। এই স্থির করিয়া মৌনাবলম্বন করিলাম। কথা কহাইবার জন্ত সকলে চেষ্টা পাইল, আমি কিছুতেই মৌনভঞ্জন করিলাম না । যখন কেহ আঘাত করে কেবল উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিয়া উঠি। চণ্ডালকন্ত ফল মূল প্রভৃতি খাদ্য দ্রব্য আমার সম্মুখে দিল, আমি খাইলাম না। পর দিনও ঐরূপ আহার সামগ্ৰী আনিয়া দিল। আমি ভক্ষণ না করাতে কহিল পক্ষী ও পশু জাতি ক্ষুধা লাগিলে খায় না, ইহা অতি অসম্ভব। বোধ হয়, তুমি জাতিস্মর ভক্ষ্যাভক্ষ্য বিবেচনা করিতেছ। অর্থাৎ চণ্ডালস্পশে খাদ্য দ্রব্য অপবিত্র হইয়াছে বলিয়া আহার করিতেছ না। তুমি পূৰ্ব্বজন্মে যে থাক, এক্ষণে পক্ষিজাতি হইয়াছ। চণ্ডাল-পৃষ্ট বস্তু ভক্ষণ করিলে পক্ষিজাতির দুরদৃষ্ট জন্মে না। বিশেষতঃ আমি বিশুদ্ধ ফল মূল আনয়ন করিয়াছি, উচ্ছিষ্ট সামগ্ৰী আনি নাই। নীচজাতিস্পৃষ্ট ফল মূল ভক্ষণ করা কাহারও পক্ষে নিষিদ্ধ নহে। শাস্ত্রকারের লিখিয়াছেন পানীয় কিছুতেই অপবিত্র হয় না । অতএব তোমার পান ভোজনে বাধা কি ? ৬
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/২২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।