কাদম্বরী পঙক্তি জুড়িয়া বিরাজিত থাকিলেও গ্রন্থ-মধ্যে ক্রিয়াপদের সংখ্যা প্রাতিপদিকের তুলনায় অনেক কম। ক্রিয়াপদের এইরূপ সংখ্যাল্পত হওয়াই ত স্বাভাবিক, কেননা একটি বাক্য যদি সাত পঙক্তি ব্যাপিয়া বিরাজ করিতে থাকে এবং সেই বাক্য-মধ্যে অন্ততঃ পচিশ-ত্রিশটি পদ থাকে, তাহা হইলেও তাহাতে একটি বা দুইটির বেশি ক্রিয়াপদ থাকিতেই পারে না। আর এই সব ক্রিয়াপদের অর্থ লইয়াই যত বিভ্রাট ও গণ্ডগোল,—এগুলিকে ত আর অভিধানে খুজিয়া পাওয়৷ যায় না। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস, র্যাহার মোটামুটি সংস্কৃত জানেন, তাহারাও একখানি মাত্র ভাল অভিধানের সাহায্যে হাসিতে হাসিতে সংস্কৃত কাদম্বরীর মধ্যে প্রবেশ লাভ করিতে পারেন, এবং ইহার রসাস্বাদে বিভোর হইয়া কৃতাৰ্থ ও পুলকিত হইতে পারেন,—তবে গোড়াতেই একগজী বাক্য দেখিয়া ভড় কাইলে সব মাটি হইবে, পণ্ড হইবে, ব্যর্থ হইবে । অজ্ঞ, অকবি, অরসিক আমার কথা না হয় বিজ্ঞের হাসি হাসিয়া উড়াইয়া দিতে পারেন, কিন্তু স্বয়ংবিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ কি লিখিয়াছেন দেখুন :– - Վ/ "সংস্কৃতসাহিতো গদ্যে যে দুই-তিনখানি উপন্যাস অাছে, তা হার মধ্যে কাদম্বরী সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছে। যেমন রমণীর তেমনি প্রদের_অলঙ্কারের প্রতি টান বেশী—গদ্যের সাজসজ্জা স্বভাবতই কৰ্ম্মক্ষেত্রের উপযোগী। তাহাকে তৰ্ক করিতে হয়, অনুসন্ধান করিতে হয়, ইতিহাস বলিতে হয়, তাহাকে বিচিত্র ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকিতে হয়—এইজন্য তাহার বেশভূষা লঘু তাহার ১২
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।