গ্রন্থ ও গ্রন্থকারের পরিচয় রাজা প্ৰতীহারর বাক্য শুনিয়া সাতিশয় কৌতুকাবিষ্ট হইলেন এবং সমীপবর্তী সভাসদগণের মুখাবলোকনপূৰ্ব্বক কহিলেন কি হানি আছে লইয়া আইস । প্রতীহারী যে আজ্ঞা বলিয়া চণ্ডালকন্যাকে সঙ্গে করিয়া আনিল ।” তারাশঙ্কর রাসেলাসের ‘বিজ্ঞাপনে’ লিখিয়াছেন,— “ইংরেজী ভাষায় জনসন-প্রণীত সুপ্রসিদ্ধ রাসেলাস’ গ্রন্থ অবলম্বন করিয়া এই পুস্তক লিখিত হইল। ইহা ঐ গ্রন্থের অবিকল অনুবাদ নহে। জনসন এক সপ্তাহে ঐ গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন। যিনি এত অল্প সময়ে এমন উৎকৃষ্ট গ্রন্থ রচনা করিতে পারেন, ঈদৃশ অসাধারণ ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তির জীবনবৃত্তান্ত জানিতে অনেকেরই ঔৎসুক্য জন্মিতে পারে ; এজন্ত অতি সংক্ষেপে তাহার জীবনচরিত সঙ্কলিত হইয়া এই পুস্তকের প্রথমে সন্নিবেশিত হইল। এক্ষণে এই পুস্তক লোকসমাজে পরিগৃহীত হইলে আমার সমুদায় শ্রম সার্থক হয় ।” জনসনের জীবনচরিত হইতে প্রথম প্যারাগ্রাফ নিয়ে উদ্ধত হইল :– “১৭৯৯ খ্ৰীঃ অকের ১৮ই সেপ্টেম্বর ষ্টাফোর্ড সায়ারের অন্তর্গত লিচ,ফিল্ড গ্রামে জনসন জন্ম গ্রহণ করেন। জনসনের পিতা পুস্তকবিক্রেতার ব্যবসায় করিতেন। প্রথম অবস্থায় কিছু সঙ্গতিও করিয়াছিলেন, কিন্তু পার্টমেন্টের ব্যবসায়ে একবারে
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।