বৃক্ষের ফল পরিণত হইয়া ভূতলে পতিত হইত। বন্ত ও পোষিত পশু মাঠের চতুর্দিকে চরিয়া বেড়াইত, হিংস্র জন্তু তথায় আসিতে পারিত না । কোন দিকে গো মেষাদির পাল চরিতেছে, কোন দিকে হরিণ ও হরিণীগণ লম্ফ প্রদানপূৰ্ব্বক ইতস্তত: দৌড়িতেছে, কোন স্থলে ছাগশাবক প্রস্তরের উপর লম্ফঝল্ফ দিয়া বেড়াইতেছে, কোন স্থানে গম্ভীর-স্বভাব হস্তী তরুতলের ছায়ায় শয়ন করিয়া মুথে বিশ্রাম করিতেছে, কোথাও বা চঞ্চল কপিকুল এক বৃক্ষ হইতে বৃক্ষান্তরে শাখায় লঙ্ক দিয়া পড়িতেছে, দেখিতে পাওয়া যাইত। পৃথিবীর সমুদায় আশ্চৰ্য্য বস্তু তথায় সংগৃহীত হইয়াছিল, সংসারের সমুদায় দুঃখ-সন্তাপ তথা হইতে পলায়ন করিয়াছিল।” তারাশঙ্করের লিখিত বিভিন্ন বিষয়ক ভাষা উদ্ধত হইল – কাদম্বরীর দুইটি ভূমিকা, কাদম্বরীর সূচনা হইতে কিয়দংশ, জনসনের জীবনীর প্রারম্ভ, এবং রাসেলাসের গোড়া হইতে উপরি উদ্ধত অংশ। যদি এই সকল উদ্ধত অংশ অবহিত হইয়া নিবিষ্টচিত্তে পাঠ করা হয়, তাহা হইলে পাঠক অনায়াসে তারাশঙ্করের ভাষার দোষ ও গুণ নিরপেক্ষভাবে আলোচনা করিতে পারবেন। প্রথমেই একটি বিশেষ বিষয়ে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং জনসনের রাসেলাস অবলম্বন করিয়াই বা কেন তাহার অপূৰ্ব্ব গ্রন্থ রচনা করিলেন—এই প্রশ্ন সকল চিন্তাশীল পাঠকেরই মনে
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।