পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থ ও গ্রন্থকারের পরিচয় ছিল ? তাহা না হইলে বাছিয়া বাছিয়া এই দাঁতভাঙ্গ দুইখানি বই অবলম্বন করিয়া তিনি বঙ্গসাহিত্যের চর্য্যায় আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন কেন ? \x^(কাদম্বরী) বাঙ্গালায় গদ্যচ্ছন্দে কাব্যের উচ্ছ্বাস। কিন্তু মদিরার মত্ততা অধিকক্ষণ থাকে না –ঠিক কথা ; কিন্তু এ দোষ তারাশঙ্করের নহে—এ দোষ বাণভট্টের, তাহার ভাষাও 'অমুকুন্ত হইতে পারে নাই।’ মেঘনাদবধ কাব্যের ভাষাও অনো অতুকরণ করিতে পারে নাই। সেখানেও শব্দের গাম্ভীর্য্যে, ভাষার ঘনঘটায় ভাবের খেই হারাইয়া ফেলিতে হয়। কিন্তু কে বলিল, “তারাশঙ্করের ঝঙ্কার খুব। ঝঙ্কারে মুর তাল ডুবিয়া থাকে। শুনিতে মধুর, কাজে লাগে বড় কম। কাদম্বরী পাঠে মুগ্ধ হইতাম, স্তম্ভিত হইতাম, বিস্মিত হইতাম,--কিন্তু কখন নিজের জিনিষ বলিয়া মনে করিতে পারিতাম না। কাদম্বরী চমক দিত, কিন্তু প্রাণে লাগিত না ’ যিনি বলিয়াছেন, তিনি আমার সাক্ষাৎ উপাস্য দেবতা হইলেও সত্যের খাতিরে বলিতে হইতেছে, পিতৃদেবের এই উক্তি সত্য নহে। পিতাপুত্রে যখন তিনি এই কথা লিখিয়াছিলেন, তখন মেঘনাদবধের ভাষা-সম্বন্ধেও তাহার এইরূপ মত, বা ইহা অপেক্ষা বিকৃত মত সেই পুস্তক-মধ্যেই লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন। কিন্তু সৌভাগ্যের কথা, কবি হেমচন্দ্রের কাব্য সমালোচনা করিতে গিয়া তিনি র্তাহার এই ভ্রান্ত ধারণার কবুল-জবাব দিয়াছেন— নিজের দোষ স্বীকার করিয়াছেন। . আমার দৃঢ় বিশ্বাস, পরিণত