গ্রন্থ ও গ্রন্থকারের পরিচয় কলহংসের কোলাহলে আহত হইয়া সরোবরের সমীপবর্তী হইলেন । চতুর্দিকে শ্রেণীবদ্ধ তরু মধ্যে ত্ৰৈলোক্যলক্ষ্মীর দর্পণস্বরূপ, বসুন্ধরাদেবীর স্ফটিকগৃহস্বরূপ অচ্ছেদনামক সরোবর নেত্রগোচর করিলেন । সরোবরের জল অতি নিৰ্ম্মল। জলে কমল, কুমুদ, কহ্নার প্রভৃতি নানাবিধ কুমুম বিকসিত হইয়াছে। মধুকর গুন গুন ধ্বনি করিয়া এক পুষ্প হইতে অন্য পুষ্পে বসিয়া মধু পান করিতেছে। কলহংস সকল কলরব করিয়া কেলি করিতেছে। কুমুমের মুরভিরেণু হরণ করিয়া শীতল সমীরণ নানাদিকে মুগন্ধ বিস্তার করিতেছে।” আর সেই সঙ্গে ভুলিলে চলিবে না :– “১৭৫৯ খ্ৰীঃ অব্দের প্রথমে মতার অস্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার ব্যয়নিৰ্ব্বাহের নিমিত্ত এবং মাতার যে কিছু ঋণ ছিল, তাহার পরিশোধের জন্য জনসন রাসেলাস গ্রন্থ রচনা করেন। এই গ্রন্থে যুক্তিগর্ভ বিচার ও নীতিগর্ভ অনেক উপদেশ আছে। প্রত্যহ সায়ংকালে লিখিতে বসিতেন, যতখানি লেখা হইত, মুদ্রিত করিবার নিমিত্ত যন্ত্রালয়ে পাঠাইয়া দিতেন। এইরূপ এক সপ্তাহের সায়ংকালীন পরিশ্রমে রাসেলাস সমাপ্ত হয় !” 张 将 来 “ভদ্রে । অনেক পথ ভ্রমণ করিয়া অত্যন্ত পরিশ্রম হইয়াছে, অতএব কিছু দিন এইখানে বিশ্রাম কর। এই বাটীর কত্রী
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।