তৃতীয় পরিচ্ছেদ চন্দ্রাপীড় ও বৈশম্পায়নের বাল্য ও কৈশোর শিক্ষা এবং বিদ্যামন্দির হইতে প্রত্যাবর্তন কুমারের ক্রীড়ায় কীলক্ষেপ না হয় এই নিমিত্ত রাজা নগরের প্রাস্তে শিপ্রী নদীর তীরে এক বিদ্যামন্দির প্রস্তুত করাইলেন । বিদ্যামন্দিরের এক পাশ্বে অশ্বশালা ও নিম্নে ব্যায়ামশালা প্রস্তুত হইল। চতুর্দিক উন্নত প্রাচীর দ্বারা পরিবৃত হইল। অশেষবিদ্যাপারদর্শী মহোপাধ্যায় অধ্যাপকগণ অতিযত্নে আনীত ও শিক্ষাপ্রদানে নিয়োজিত হইলেন। নরপতি শুভ দিনে স্বপুত্র চন্দ্রাপীড় ও মন্ত্রিপুত্র বৈশম্পায়নকে র্ত্যহাদিগের নিকটে সমর্পণ করিলেন। প্রতি দিন মহিষীর সহিত স্বয়ং বিদ্যামন্দিরে উপস্থিত হইয়া তত্ত্বাবধান করিতে লাগিলেন। রাজকুমার এরূপ বুদ্ধিমান ও চতুর ছিলেন যে, অধ্যাপকগণ র্তাহার নব নব বুদ্ধিকৌশলদর্শনে চমৎকৃত ও উৎসাহিত হইয়া সমধিক পরিশ্রম স্বীকারপূর্বক শিক্ষা দিতে লাগিলেন। তিনিও অনন্তমনা ও ক্রীড়াসক্তিরহিত হইয়া ক্রমে ক্রমে সমস্ত বিদ্যা অধ্যয়ন করিলেন। র্তাহার হৃদয়দর্পণে সমুদায় কলা সংক্রান্ত হইল। অল্পকালের মধ্যেই তিনি শঙ্কশাস্ত্র, বিজ্ঞানশাস্ত্র, রাজনীতি, ব্যায়ামকৌশল, অস্ত্র ও সঙ্গীত বিদ্যা, সৰ্ব্বদেশভাষা এবং কাব্য, নাটক, ইতিহাস প্রভৃতি সমুদায় শিখিলেন। ব্যায়াম প্রভাবে তাহার শরীর এরূপ বলিষ্ঠ হইল যে, করভ সকল সিংহ দ্বারা
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।