কাদম্বরী । Nల్సి প্রবেশিয়া রাজকুমারকে প্রণাম করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে নিবেদন করিল কুমার ! মহারাজ কহিলেন, “আমাদিগের মনোরথ পূর্ণ হইয়াছে। তুমি সমস্ত শাস্ত্র, সকল কলা ও সমুদায় আয়ুধবিদ্যা অভ্যাস করিয়াছ। এক্ষণে আচার্য্যেরা বাট আসিতে অনুমতি দিয়াছেন। প্রজার ও পরিজনেরা দেখিতে অতিশয় উৎসুক হইয়াছে। অতএব আমার অভিলাষ, তুমি অবিলম্বে বাটী আসিয়া দর্শনোৎসুক পরিজনদিগকে দর্শন দিয়া পরিতৃপ্ত কর এবং ব্রাহ্মণদিগের সমাদর, মানিলোকের মানরক্ষা, সন্তানের ন্যায় প্রজাদিগের প্রতিপালন ও বন্ধুবর্গের আনন্দোৎপাদনপূর্বক পরম মুখে রাজ্য সম্ভোগ কর।” আপনার আরোহণের নিমিত্ত মহারাজ ত্রিভুবনের এক অমূল্য রত্ন স্বরূপ, বায়ু ও গরুড়ের ন্যায় অতিবেগগামী, ইন্দ্রায়ুধনাম অপূৰ্ব্ব ঘোটক প্রেরণ করিয়াছেন। ঐ ঘোটক সাগরের প্রবাহমধ্য হইতে উখিত হয়। পারস্যদেশের অধিপতি মহারত্ব ও আশ্চৰ্য্য পদার্থ বলিয়া উহা মহারাজকে উপহার দেন। অনেক অশ্বলক্ষণবিৎ পণ্ডিতেরা কহিয়াছেন উচ্চৈঃশ্রবার যে সকল সুলক্ষণ শুনিতে পাওয়া যায়, উহারও সেই সকল সুলক্ষণ আছে। ফলতঃ ইন্দ্রায়ুধ সামান্য ঘোটক নয়। আমরা ঐ রূপ ঘোটক কখন দেখি নাই। দ্বারদেশে বদ্ধ আছে অমুমতি হইলে আনয়ন করা যায়। দর্শনাভিলাষী রাজারাও সাক্ষাৎ করিতে আসিয়া বাহিরে আপনার প্রতীক্ষা করিতেছেন । ৩ বলাহক এই কথা কহিলে চন্দ্রাপীড় গম্ভীরস্বরে আদেশ করিলেন ইন্দ্রায়ূধকে এইস্থানে লইয়া আইস। আঞ্জামাত্র অতিবৃহৎ, স্থূলকায়, মহাতেজস্বী, প্রচণ্ডবেগশালী, বলবান, ইস্তাযুদ্ধ
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।