‘NISෂ কাদম্বরী। হইলেন। কর প্রসারণপূৰ্ব্বক প্রণত পুত্রকে আলিঙ্গন করিলেন। তাহার স্নেহবিকসিত লোচন হইতে আনন্দাশ্র নির্গত হইতে লাগিল। বৈশম্পায়নকেও সমাদরে আলিঙ্গন করিয়া আসনে উপবেশন করিতে কহিলেন। ক্ষণকাল তথায় বসিয়া রাজকুমার জননীর নিকট গমন করিলেন । পুত্রবৎসল বিলাসবতী স্নিগ্ধ ও প্রীতিপ্রফুল্ল নয়নে পুত্রকে পুনঃ পুনঃ নিরীক্ষণ করিয়া তাহার মস্তক আভ্রাণ ও হস্ত দ্বারা গাত্র স্পর্শপূৰ্ব্বক আপন উৎসঙ্গদেশে বসাইলেন ও স্নেহসম্বলিত মধুর বচনে বলিলেন বৎস! তোমাকে নানাবিদ্যায় বিভূষিত দেখিয়া নয়ন ও মন পরিতৃপ্ত হইল। এক্ষণে বধৃসহচারী দেখিলে সকল মনোরথ পূর্ণ হয়। এই কথা কহিয়া লজ্জাবনত পুত্রের কপোলদেশ চুম্বন করিতে লাগিলেন । ৮ রাজকুমার এইরূপে সমস্ত অন্তঃপুরবাসিনীদিগকে দর্শন দিয়া আহলাদিত করিলেন। পরিশেষে শুকনাসের ভবনে উপস্থিত হইলেন। অমাত্যের ভবনও এরূপ সমৃদ্ধিসম্পন্ন যে, রাজবাটী হইতে বিভিন্ন বোধ হয় না। শুকনাস সভামণ্ডপে বলিয়া আছেন। সমাগত সামন্ত ও ভূপতিগণ চতুর্দিকে বেষ্টন করিয়া রহিয়াছেন। এমন সময়ে চন্দ্রাপীড় ও বৈশম্পায়ন তথায় প্রবেশিলেন। সকলে সসন্ত্রমে গাত্ৰোখানপূর্বক সমাদরে সম্ভাষণা করিল। শুকনাস প্রণত পুত্র ও রাজকুমারকে যুগপৎ আলিঙ্গন করিয়া পরম পরিতুষ্ট হইলেন। পরে রাজনন্দনকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন বৎস চন্দ্রাপীড় ! অদ্য তোমাকে কৃতবিদ্য দেখিয়৷ মহারাজ যেরূপ সন্তুষ্ট হইয়াছেন শত শত সাম্রাজ্যলাভেও তাদৃশ
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।